
বাইরে থেকে দেখলে, ছোটখাট এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। কিন্তু সেই কোম্পানির আড়ালে চলছিল ভয়ঙ্কর খেলা! পানিহাটিতে তরুণীর উপর অত্যাচারের ঘটনা ফাঁস হতেই মা শ্বেতা খান ও ছেলে আরিয়ানের নানা কীর্তি সামনে এসেছে। সফট পর্ন শুট করে রমারমা কারবার ফেঁদে বসেছিলেন এলাকায় 'ফুলটুসি' নামে পরিচিত এই শ্বেতা ও তাঁর ছেলে? চলত মধুচক্র এবং নীল ছবির শুটিংও?
কাজের টোপ দিয়ে নিয়ে গিয়ে পানিহাটির তরুণীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে শ্বেতা ও আরিয়ানের বিরুদ্ধে। রয়েছে খুনের চেষ্টার অভিযোগও। কোনও মতে মা-ছেলের খপ্পর থেকে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন তরুণী। শ্বেতা এবং আরিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রোডাকশন হাউস খুলে তাঁরা ছবিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রলুব্ধ করতেন অল্পবয়সিদের। কিন্তু আদতে তাঁদের নিয়ে বানাতেন সফট পর্ন ভিডিও। এমকী, অনেককে জোর করে দেহব্যবসায় নামান বলেও অভিযোগ। পানিহাটির তরুণীর মায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, 'পরিবারের হাল ফেরাতে মেয়ের কাজের দরকার ছিল। মেয়েকে দিয়ে খারাপ খারাপ কাজ করাতে চাইত ওরা। মেয়েকে রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে।'
এই ফুলটুসি ওরফে শ্বেতা খান রীতিমতো ভাইরাল। একটি প্রোডাকশন হাউস চালান তিনি। নাম ইশারা এন্টারটেইনমেন্ট। রয়েছে একটি ইউটিউব চ্যানেলও। বহু মিউজিক ভিডিও আপলোড করা হয়েছে সেই চ্যানেল থেকে যেখানে অভিনয় করেছেন ফুলটুসি নিজেই। যেগুলোকে সফট পর্ন ভিডিও বলা যায়।
প্রতিবেশিরা জানাচ্ছেন, এলাকায় দাপট নিয়ে চলেন ফুলটুসি। তাঁদের আরও দাবি, মা-ছেলে সেক্স ব়্যাকেট চালান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আড়ালে। এখানেই শেষ নয়, উঠে এসেছে শ্বেতার এক মেয়ের কাহিনিও। নাম ইশিকা। মা ও দাদা তাঁকেও দুষ্কর্ম করতে চাপ দেওয়ার সে আত্মঘাতী হয় বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। পানিহাটির তরুণীর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পলাতক ডোমজুড়ের এই মা-ছেলে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।
এদিকে, হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, বুকের কাছে কাটারি দিয়ে কেটে দেওয়া হয় তাঁর। সিগারেটের ছ্যঁকা, রড দিয়ে মেরে হাত ভেঙে দেওয়া,মাথায় লোহার রডের আঘাত এবং কোমরও ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাঁর।