Panskura Chips Case: পাঁশকুড়া চিপস-কাণ্ড: কিশোরের আত্মহত্যার নেপথ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার? গ্রেফতার

চিপস কুড়িয়ে জুটেছিল বকুনি, মার। তারপরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নাবালক। কাঠগড়ায় তোলা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার দোকানি শুভঙ্কর দীক্ষিতকে। ঘটনার ১৬ দিন পর গ্রেফতার করা হল তাঁকে। রবিবার রাতে তাঁকে কোলাঘাটের জিদায়া থেকে গ্রেফতার করে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। 

অভিযুক্ত সিভিকের গ্রেফতারির খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত কিশোর কৃষ্ণেন্দুর মা সুমিত্রা দাস। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ওই সিভিক কর্মী গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের উপর ভরসা কমতে শুরু করেছিল। এখন ও গ্রেফতার হয়েছে। আমি চাই প্রশাসন ওকে কঠোর শাস্তি দিক। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হোক।’

পাঁশকুড়ার কেশাপাট পঞ্চায়েতের গোঁসাইবেড় গ্রামের বাসিন্দা শুভঙ্করের দোকানে গিয়েছিল স্কুলপড়ুয়া কৃষ্ণেন্দু দাস। দোকানের সামনে পড়ে থাকা চিপ্‌সের প্যাকেট সে নিয়েছিল বলে দাবি। অভিযোগ, কৃষ্ণেন্দুর পিছু ধাওয়া করে তাকে শুভঙ্কর আটকান এবং কান ধরে ওঠবস করান। তাকে পুলিশেরও ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। পরে কৃষ্ণেন্দুর মা-ও ছেলেকে মারধর করেন। ঘটনার জেরে কৃষ্ণেন্দু কীটনাশক পান করে আত্মঘাতী হয় বলে দাবি। মিলেছিল একটি সুইসাইড নোটও। যদিও সেই নোটের হাতের লেখা আদৌ ওই নাবালকের কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গিয়েছে। 

গত ২৫ মে ওই কিশোরের মা সুমিত্রা দাস পাঁশকুড়া থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু বেশ কয়েক দিন কেটে গেলেও কেন ওই সিভিক গ্রেফতার হচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।

পাঁশকুড়া থানার পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ শুভঙ্করের মোবাইলের টাওয়ার ট্র্যাক করা শুরু হয়। লোকেশন মেলে কোলাঘাট থানার দেউলিয়ার কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে জিয়াদা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার দোকানিকে। ধৃতকে সোমবার তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।