Panskura student death: পাঁশকুড়ায় সেই নাবালকের মৃত্যুকাণ্ডে সিভিক ভলান্টিয়ারকে'শাস্তি'! কাজ থেকে অব্যাহতি

পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড়ে ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাসের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক ঘনিয়ে উঠেছে, তাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগের চারদিন কেটে গেলেও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত এখনও অধরা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে আপাতত বরখাস্ত (ডি-মোবিলাইজ়ড) করা হয়েছে এবং মামলা চলাকালীন সে কর্মস্থলে যোগ দিতে পারবে না, বেতনও বন্ধ থাকবে। তবে তাঁর খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চলছে বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement
পাঁশকুড়ায় সেই নাবালকের মৃত্যুকাণ্ডে সিভিক ভলান্টিয়ারকে'শাস্তি'! কাজ থেকে অব্যাহতিপাশকুড়ায় বালকের মৃত্যু।-কোলাজ
হাইলাইটস
  • চিপস-চুরির অপবাদে ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় পাঁশকুড়া থানার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতকে ‘ডি–মবিলাইজ়’ করল পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ।
  • নাবালক এক ছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

চিপস-চুরির অপবাদে ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় পাঁশকুড়া থানার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতকে ‘ডি–মবিলাইজ়’ করল পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ। নাবালক এক ছাত্রকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শুভঙ্কর। গত ১৮ মে শুভঙ্করের দোকানে কাউকে না-পেয়ে বাইরে পড়ে থাকা তিন প্যাকেট চিপস তুলে নিয়ে যায় নাবালক ওই ছাত্র। অভিযোগ, শুভঙ্কর ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে ও টাকা নেয়।

অভিযোগ, সেই দৃশ্য দেখে নেওয়া তৃতীয় এক ব্যক্তি শ্যামচরণ ভুঁইয়া বিষয়টি নিয়ে প্ররোচনা দিতে শুরু করেন। নাবালকের মা ছেলেকে শুভঙ্করের দোকানের সামনে এনে মারধর করেন বলে স্থানীয়দের দাবি। তার পরেই বাড়ি ফিরে আগাছানাশক পান করেছিল ওই ছাত্র। ২২ মে তমলুক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

অভিযোগ, অভিযুক্ত শুভঙ্কর দীক্ষিত ছাত্র কৃষ্ণেন্দুকে মানসিক চাপে ফেলেছিলেন, যার ফলেই আত্মঘাতী হয় সে। নাবালকের পরিবারের দাবি, ওই সিভিক ভটান্টিয়ার গ্রেফতার না হওয়ায় তাঁরা পুলিশের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। তাঁদের প্রশ্ন, পুলিশের তরফে কেন এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?

জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যের নির্দেশে এই সিভিক কর্মীকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও, বিরোধীরা একে 'পালানোর সুযোগ' বলেই ব্যাখ্যা করছে। বিজেপির প্রশ্ন, পুলিশ কী করছে? একজন অভিযুক্ত সিভিক চারদিনেও অধরা কেন?
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপি এই ঘটনায় 'রাজনীতি' করছে। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজিত কুমার রায় বলেন, 'আমরাও চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, দোষীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক।' পাশাপাশি, তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেস দুঃখের এই সময়ে পরিবারটির পাশে রয়েছে।

এখন নজর পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। প্রশ্ন উঠছে—একজন সরকারি কর্মী, যার বিরুদ্ধে সরাসরি আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে, তাকে খুঁজে পেতে পুলিশের এত দেরি কেন? স্থানীয়দের আশঙ্কা, এ দেরির সুযোগে হয়তো অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে পারে।
 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement