সন্দেশখালি পরিস্থিতি নিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শুধু মমতাই নয়, মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগের জনসভা থেকে এদিন সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে গর্জে ওঠেন তিনি। তাঁর নিশানায় তৃণমূলের পাশাপাশি ইন্ডিয়া ব্লকও। লোকসভার আগে বিজেপিকে প্রতিহত করতে তৈরি এই জোটের উদ্দেশ্যে মোদীর প্রশ্ন, ইন্ডি ব্লক গান্ধীজির তিন বাঁদরের মতো চোখ, নাক, কান বন্ধ করে রেখেছেন কেন? তাঁরা চুপ কেন?
শুক্রবার আরামবাগের জনসভা থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, "ইন্ডি জোট গান্ধীজির তিন বাঁদরের মতো চোখ, নাক, কান বন্ধ করে রেখেছে। কংগ্রেসের রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ (কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে) বলেছেন, "ছাড়ো, বাংলায় তো এসব চলতে থাকে। এটা বাংলার অপমান নয়? বাংলার নাগরিকের অপমান নয়? বাংলার সংস্কৃতির অপমান নয়? এটিই ইন্ডি জোটের সত্য। তারা পরিবারবাদ আর তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে সমর্থন করে। টিএমসি বাংলায় অপরাধ ও ভ্রষ্টাচার চালাচ্ছে।"
এ-ও বলেন, রাজ্য সরকার অপরাধকে উস্কানি দিচ্ছে। এইসব দুর্বৃত্ত তৃণমূল নেতাদের ভরে ভরে টাকা দেয়। দুঃসাহসের সীমা পেরিয়ে গেছে তৃণমূল।
শাহজাহানের গ্রেফতারিতে মোদী বলেন, "মা, মাটি, মানুষের ঢোল পেটানো সন্দেশখালির মা-বোনদের সঙ্গে যা করেছে তা দেখে পুরো দেশ দুঃখী। রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা কাঁদছে। তারা দুঃসাহসের সব সীমা পার করে দিয়েছেন। যখন সেখানকার সন্দেশখালির মহিলারা সাহায্য চেয়েছিলেন, তখন এক তৃণমূল নেতাকে বাঁচাতে তারা সব শক্তি লাগিয়ে দেন। আজ বাংলার মানুষ দিদিকে প্রশ্ন করছে কিছু সংখ্যক ভোট কি সন্দেশখলির মা-বোনদের সম্মানের থেকেও বেশি? আমার তো ইন্ডিয়া জোট দেখে অবাক লাগে। সন্দেশখালি কাণ্ডে সকলের মুখ বন্ধ। এদের চোখ, কান, মুখ বন্ধ। তাঁরা কোথায় কোথায় বৈঠক করেন। তারা সন্দেশখালির মা-বোনদের একবারও দেখেনওনি?"
পাশাপাশি বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের তদন্তে বাধা দিতে সর্বশক্তি লাগিয়ে দেয় এরা। আমাকে তারা দুশমন নম্বর ওয়ান ভাবে। তৃণমূলের এই লুঠ চলতে দেওয়া যায়? আমার গ্যারান্টি, এই লুঠেরা সরকারকে বিদায় করতে হবে। মোদী কাউকে ছাড়বে না। এই মোদী কাউকে রেয়াত করবে না। যারা গরীবদের লুটেছেন তাদের ফেরৎ পাঠাতেই হবে।