'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর প্রথমবার বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার তাঁর জনসভা রয়েছে আলিপুরদুয়ারে। BJP-র পাখির চোখ এখন ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট। ফলে প্রধানমন্ত্রীর এই বঙ্গ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
একদিকে কেন্দ্রের সর্বদলীয় ডেলিগেশন টিমের অংশ হিসেবে নানা দেশে গিয়ে 'অপারেশন সিঁদুর'-এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তখনই নরেন্দ্র মোদী বাংলা থেকে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
BJP নেতৃত্ব জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিকিম সফর সেরে আলিপুরদুয়ার পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই জনসভা করবেন তিনি। আগামী বিধানসভা ভোটে দলের রণকৌশল, প্রচার পরিকল্পনা এবং সাংগঠনিক শক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে তা নিয়ে বঙ্গ BJP-কে টিপস দিতে পারেন নমো। জুনেই নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তারপরই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। চাকরি দুর্নীতি, ডিএ মামলা, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস খুন থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ হিংসা সহ নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বঙ্গ BJP। কিন্তু এই ইস্যুগুলি নিয়ে অল আউট ঝাঁপানো এবং ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন কীভাবে হতে পারে, তারই রূপরেখা ছকে দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে মনে করা হচ্ছে, ২৬-এর ভোটের দামামা যেন বেজে যেতে চলেছে মোদীর এই বঙ্গ সফর দিয়েই।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ভোট প্রচারে শেষবার আলিপুরদুয়ারেই এসেছিলেন মোদী। সেখান থেকেই ২০২৬-এর আগে প্রথম জনসভা করবেন। প্রধানমন্ত্রী আসার আগে BJP নেতাদের মধ্যে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। দলের নেতারা মোদীর এই সফর ঘিরে কিছুটা চাঙ্গা, তা সহজেই অনুমেয়।
২০২৬-এর ভোটের আগে জন বার্লার তৃণমূলে যোগদান উত্তরবঙ্গে ধাক্কা দিয়েছে BJP শিবিরকে। জন বার্লা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ তিনি দিদি-র হাতে তুলে দেবেন। আরও এক BJP নেতা যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে, এমনটাও দাবি করেছেন এই দলবদলকারী নেতা। ফলে এর মাঝে মোদীর সফর পদ্ম শিবিরকে কিছুটা হলেও অক্সিজেন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কয়েকদিন আগেই মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে BJP-র জেতা আসন ছিনিয়ে নিয়েছে ঘাসফুল। এই আবহেই আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সভা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।