হুমায়ুন কবীর বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠান। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। হুমায়ুন কবীরের আমন্ত্রণে রাজ্যের নানা প্রান্ত তথা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো হয়েছেন অসংখ্য মানুষ, ধর্মগুরু, কাজীরা। বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করেছেন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক।
খরচ কত?
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে প্রায় ৬০–৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে মঞ্চ তৈরিতে ব্যয় ১০ লক্ষ টাকা। ২ থেকে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছেন। রান্নার দায়িত্বে ৭টি কেটারিং সংস্থা, তৈরি হচ্ছে ৪০ হাজার ‘শাহি বিরিয়ানি’। খাবারের আয়োজনে খরচ প্রায় ৩০ লক্ষ। সব মিলিয়ে আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী প্রায় ৬-৭ কোটি বাজেট রয়েছে এই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে। হুমায়ুনের মতে, ২৫ বিঘার জমিতে মসজিদের শিলান্যাসে জড়ো হবেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।
শনিবারের সূচি
সকাল ৮টা – অতিথিদের আগমন। সৌদি আরবের দুই কাজীর কনভয় মাঠে প্রবেশ করে
সকাল ১০টা – কোরান পাঠ।
দুপুর ১২টা – শিলান্যাসের মূল অনুষ্ঠান।
দুপুর ২টো – খাওয়াদাওয়া।
বিকেল ৪টার মধ্যে মাঠ ফাঁকা করতে হবে।
নিরাপত্তায় কী কী ব্যবস্থা?
কলকাতা হাইকোর্ট শিলান্যাসের অনুমতি দিলেও কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ রয়েছে। মরাদিঘি মোড়ের বিশাল মাঠে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মঞ্চ বাঁধার কাজ চলেছে। নজরদারিতে কুইক রেসপন্স টিম, র্যাফ, ভিলেজ পুলিশ থেকে মহিলা কনস্টেবল। মাঠের চারপাশে টহল দিচ্ছেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরাও। জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, দু’জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক, ৩০ জন DSP, ১০০ ইন্সপেক্টর, ২০০ সাব–ইন্সপেক্টর/ASI, কনস্টেবল, লেডি কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ থাকবে। এছাড়াও গোয়েন্দা বিভাগের ৩০ জন আধিকারিক। সবমিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে।
হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, অনেক কুৎসা, বাধা পেরিয়ে শিলান্যাস হচ্ছে অবশেষে। ২৫ বিঘা জমির উপর তৈরি হবে মসজিদ। সঙ্গে তৈরি হবে স্কুল, চিকিৎসা কেন্দ্র। এক সহৃদয় মুসলিম ব্যক্তি এই মসজি নির্মাণের জন্য ৮০ কোটি টাকা দেবেন বলে দাবি করেছেন হুমায়ুন।