উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আপাতত ইডির আধিকারিকদের গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিল ইডির দল। সেই ঘটনায় ইডির বিরুদ্ধে ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকার থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন। ওই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন যে, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না।
অন্য দিকে, ঘটনার ৬ দিন পরেও অধরা তৃণমূলের 'দাপুটে' নেতা শাহজাহান। যা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যে কলকাতায় এসেছিলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
কী ঘটেছে সন্দেশখালিতে?
গত ৫ জানুয়ারি সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডির একটি দল। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে এই অভিযান বলে খবর। সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির দিকে ইডির আধিকারিকরা যাওয়ার চেষ্টা করলেই রুখে দাঁড়ান বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা শাহাজাহানের অনুগামী বলে দাবি। শাহাজাহানের বাড়িতে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর করা হয়। ধাক্কা মেরে সরানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। ইডির আধিকারিকদের ধাওয়া করে এলাকা ছাড়া করা হয়। তাঁদের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় তিন আধিকারিক জখম হন। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও।