অনুব্রত মণ্ডলকে কী আদৌ দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি? এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত তিনটি চিঠি পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ শেষ চিঠিতে পুলিশের ওপরই দায় ঝেড়েছে। এমনই দাবি ইডি সূত্রে। তবে শেষমেশ জেল কর্তৃপক্ষ নাকি জানিয়ে দেন, অনুব্রতের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারবে না পুলিশ। চাইলে ইডি সেই দায়িত্ব নিতে পারে।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট রবিবার দুপুরেই জানিয়ে দেয় যে, তাদের পক্ষে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তারপরই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি এবার ইডি এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে দিল্লি নিয়ে যাবে অনুব্রতকে? রবিবার দুপুরে আসানসোল পুলিশ জেল কর্তৃপক্ষকে ইমেল করে জানায় যে, তাদের পক্ষে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়! সেই কথা ইডির দিল্লির সদর দফতরে জানিয়ে দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। সেই ইমেলের উত্তরে ইডি জানায়, আসানসোল জেল থেকে তারা অনুব্রতকে আনবে না। সূত্রের খবর, ইডির তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে সায়গল হোসেনকে যেভাবে নিয়ে আসা হয়েছিল সেভাবেই নিয়ে আসা হোক অনুব্রতকেও।
দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে অনুব্রত দিল্লি ও কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। দিল্লি হাইকোর্টে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলা শোনার আর্জি জানানো হয়। যদি দিল্লি হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। শনিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বিশেষ বেঞ্চে অনুব্রতর আবেদনের শুনানি হয়। তবে শেষপর্যন্ত কেষ্টর আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-''ডিএ দেবে না এমন কারও ক্ষমতা নেই", এবার সরকারি কর্মীদের পাশে কৌস্তভ