হাইলাইটস
- রাজ্যে বাড়ছে ভোট পরবর্তী হিংসা
- দিকে দিকে আক্রান্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা
- আকান্তদের সঙ্গে দেখা করতে আজই রাজ্য়ে আসছেন জেপি নাড্ডা
ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর হিংসা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ বা জঙ্গলমহল। সব জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। বীরভূম, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, কোচবিহার, নদিয়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ নানা জেলায় বিজেপি নেতাদের গাড়িতে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজির অভিযোগ সামনে এসেছে। গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ এনেছে বামেরাও।
একনজরে ১০ পয়েন্ট
- ফল ঘোযণার দিন, অর্থাৎ রবিবার দুপুর থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত রাজনৈতিক হানাহানিতে ১২জন নিহত হয়েছেন বলে খবর। নিহতদের মধ্যে বিজেপির পাঁচ, তৃণমূলের পাঁচ, আইএসএফের এক জন রয়েছেন বলে দাবি।
- নিহতদের বাড়ি কোচবিহারের শীতলকুচি, দিনহাটা, বেলেঘাটা, সোনারপুর, পূর্ব বর্ধমান। এর মধ্যে পূর্ব বর্ধমানেই ৪ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর।
- রাজ্যে সবথেকে বেশি আক্রান্ত বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। করা হচ্ছে বোমাবাজিও। একাধিক গেরুয়া কর্মী-সমর্থচক আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
- উত্তরবঙ্গে বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাব তিনি বলেন, কোচবিহারে তাঁদের এক কর্মীকে খুন করা হয়েছে।
- রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কেন হিংসার শিকার হচ্ছেন, সে ব্যাপারে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে অমিত শাহর দপ্তর।
- রাজ্যে হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়েরও। তিনি এই নিয়ে গতকাল ট্যুইট করে রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
- রাজ্যজুড়ে তাঁদের কর্মীদের উপরই হামলা হচ্ছে। অনেক কর্মীকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। এই অভিযোগে গতকাল রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, ভোটের ফল প্রকাশের পর হিংসা বেড়েই চলেছে। এর সুরাহা দরকার। না হলে আরও অনেকের প্রাণ যাবে।
- গতকাল রাতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ধনকড় তাঁকে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান। তারপরই মমতা সবাইকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন করেন। তিনি বলেন, 'সবার কাছে আবেদন করব, বাংলা শান্তিপ্রিয় জায়গা, সংস্কৃতিপ্রিয় জায়গা, সম্প্রীতিপ্রিয় জায়গা। নির্বাচনে হার-জিত হয়েছে। আবহাওয়া গরম হয়েছে কখনও, কখনও ঠান্ডা হয়েছে। এবং বিজেপি অনেক অত্যাচার করেছে এটা আমরা জানি। তা সত্ত্বেও সবাইকে বলব, শান্ত থেকে যেন কেউ কোনও হিংসাত্মক ঘটনায় না জড়াই।'
- এদিকে আজই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে রাজ্যে আসছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি সোনারপুর ও বেলেঘাটার নিহত ২ দলীয় কর্মীর বাড়িতে যাবেন।
- রাজ্যে হিংসার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক তরজা। এত বিপুল সমর্থন নিয়ে জিতে আসার পরেও হিংসা হবে কেন? মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
-