ফের রাজনৈতিক গোলমালের অভিযোগ। এবার বিজেপির এক ব্লক সভাপতিতে মারধরের অভিযোগ উঠল। বীরভূমের বোলপুরের ঘটনা। অভিযুক্ত শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বীরভূমের নানুরের ঘটনা। সেখানকার মন্ডলের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাসকে মারধরের অভিযোগ উঠল। পরপর দু-দিন দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে হামলা করে।
এই ঘটনায় জয়দেববাবু এবং তার স্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। তবে তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের পর থেকে বোলপুর মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
অনেকটা একই ঘটনা নানুরেও। গোলমাল হয়েছে সেখানেও। নানুর এ মন্ডলের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস থাকেন গোয়ালপাড়া গ্রামে। অভিযোগ, সোমবার এবং মঙ্গলবার পরপর দু'দিন তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর, লুটপাটের পাশাপাশি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় জয়দেববাবুর।
কী হয়েছিল তা জানান জয়দেব বিশ্বাস। তাঁর দাবি, ভোটের পর থেকে তৃণমূলের লোকজন আমাকে হুমকি দিচ্ছিল। সোমবার এবং মঙ্গলবার পরপর দু'দিন আমার বাড়ি ঢুকে হামলা করে।
এদিকে, ভোটের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যে একের পর এক জায়গায় গোলমাল হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় অশান্তি হচ্ছে। শাসক থেকে বিরোধী- বাদ যাচ্ছে না কেউই। রাজনৈতিক গোলমালের জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা হুগলি বাদ যায়নি কোথাও। এমন আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা।
সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন। একই আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, কোনও গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না। অশান্তি করলে কাউকে ছাড়া হবে না।
রাজনৈতিক হিংসার কারণে নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করবে সরকার। জানিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি ফেক নিউজ নিয়েও সতর্ক করেছিলেন তিনি। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল।