Pradeep Kar Suicide: হাতের ৪ আঙুল ছিল না 'নিরক্ষর' প্রদীপের? কে লিখল সুইসাইড নোট? CBI তদন্ত চাইছে BJP

কে লিখল সুইসাইড নোট? প্রদীপ করের হাতের ৪ আঙুল ছিল না বলে দাবি পরিবারের। ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। সুইসাইড নোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে BJP। CBI তদন্ত চাইছে গেরুয়া শিবির।

Advertisement
হাতের ৪ আঙুল ছিল না 'নিরক্ষর' প্রদীপের? কে লিখল সুইসাইড নোট? CBI তদন্ত চাইছে BJPঅভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে), মৃত প্রদীপ কর (মাঝে), সুকান্ত মজুমদার (ডান দিকে), সুইসাইড নোট (ইনসেটে)
হাইলাইটস
  • প্রদীপ করের হাতের ৪ আঙুল ছিল না বলে খবর
  • 'নিরক্ষর' প্রদীপ সুইসাইড নোট লিখল কীভাবে
  • CBI চাইছে BJP

'জাস্টিস ফর প্রদীপ কর'। এই স্লোগান তুলে SIR বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তাঁর বাড়িতে পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন তিনি। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, NRC এবং SIR আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন পানিহাটির এই বাসিন্দা। সুইসাইট নোটেও লেখা ছিল সে কথা। তবে সেই সুইসাইড নোট নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। 

BJP প্রশ্ন তুলেছে, প্রদীপ কর কি আদৌ লিখতে পারবতেন? মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রদীপ তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন এবং সর্বোপরি তাঁর ডান হাতের ৪টি আঙুল ছিল না। ১৯৮০ সালে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর হাতের ৪ আঙুল কাটা পড়ে। তবে তিনি বাঁ হাতে লিখতেন কি না, সে তথ্য মেলেনি। ফলে মৃতের দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট এবং তাতে NRC-কে মৃত্যুর জন্য দায়ী করার বিষয়টি ধোপে টিকছে না বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। 

স্থানীয় BJP নেতৃত্বে পানিহাটির এই ঘটনায় CBI তদন্ত চেয়েছেন। পাশাপাশি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও বলেন, 'যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সুইসাইড নোটটি কে লিখেছেন তা জানা দরকার। NRC তো চালুই হয়নি। NRC নিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল।' সুইসাইড নোটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। 

এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, NRC আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন ৫৭ বছরের প্রৌঢ় প্রদীপ কর। তাঁর অকালমৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে। তাঁদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। 

তবে প্রদীপের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও মেলেনি।  তিনি আদৌ লিখতে জানতেন কি না, তা নিয়ে তাঁর সংশয় রয়েছে। অবিবাহিত প্রদীপ ভাই এবং ভ্রাতৃবধূর সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে তিনি নিজের ঘরে শুতে যান। মঙ্গলবার সকালে ভ্রাতৃবধূ বার বার ডেকেও সাড়া না পেয়ে প্রদীপের ভাইকে ডাকেন। প্রতিবেশীরা আসেন। থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে প্রদীপের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। পুলিশই উদ্ধার করে ‘বিতর্কিত’ সুইসাইড নোটটি।  মশারির দোকান ছিল প্রদীপের। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, উনি পানিহাটি বিধানসভার ভোটার। ২০২৪ সালেও ভোট দিয়েছেন। তবে বাবা বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement