scorecardresearch
 

নেওড়া ভ্য়ালিতে নয়া প্রজাতির ফড়িংয়ের সন্ধান পেলেন বাঙালি পরিবেশবিদ

ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানের একটি পত্রিকা তাঁর খোঁজকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখানে সে ব্য়াপারে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিশিষ্ট পরিবেশবিদ শুভঙ্কর পাত্রকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেটির নাম রাখা হয়েছে।

Advertisement
নয়া প্রজাতির ফড়িং (ইনসেটে), আবিষ্কারক প্রসেনজিৎ দা নয়া প্রজাতির ফড়িং (ইনসেটে), আবিষ্কারক প্রসেনজিৎ দা
হাইলাইটস
  • নতুন প্রজাতির এক ফড়িংয়ের সন্ধান পেয়েছেন এক বাঙালি পরিবেশবিদ
  • নাম রাখা হয়েছে বিখ্য়াত বাঙালি পরিবেশবিদের সম্মানে
  • বাংলার নেওড়াভ্যালি থেকে সেটার সন্ধান মিলেছে

নতুন প্রজাতির এক ফড়িংয়ের সন্ধান পেয়েছেন বাঙালি পরিবেশবিদ। নাম রাখা হয়েছে বিখ্য়াত বাঙালি পরিবেশবিদের সম্মানে। বাংলার নেওড়া ভ্যালি থেকে সেটির সন্ধান মিলেছে।

ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানের একটি পত্রিকা তাঁর খোঁজকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখানে সে ব্য়াপারে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিশিষ্ট পরিবেশবিদ শুভঙ্কর পাত্রকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেটির নাম রাখা হয়েছে।

নয়া প্রজাতির ওই ফড়িং খুঁজে পেয়েছেন হাওড়ার শ্য়ামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক প্রসেনজিৎ দাঁ। তিনি থাকেন হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে।

২০১৮ সালে গিয়েছিলেন কালিম্পংয়ের ন্যাওড়া ভ্য়ালিতে। তখন ওই ফড়িং দেখে তাঁর মনে হয়েছিল সেটি নতুন কোনও প্রজাতির। এরপর তিনি সেটির ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেন। এবং পাঠিয়ে দেন আন্তর্জাতিক পত্রিকা 'জুটাক্সা'তে।

চলতি বছরে ২৫ মার্চ তাঁর গবেষণার স্বীকৃতি দিয়েছে ওই পত্রিকা। জুটাক্সা পত্রিকায় সে ব্যাপারে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এবং মেনে নেওয়া হয়েছে, সেটি নতুন প্রজাতির ফড়িং।

প্রসেনজিৎ দাঁ জানান, ২০১৮ সালে ন্যাওড়াভ্য়ালি প্রকৃতির পাঠশালা (নেচার ক্যাম্প)-য় অংশ নিয়েছিলেন। এর উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য বন দফতর। তারপর ওই ফড়িংয়ের ব্যাপারে এক আন্তর্জাতিক মানের পত্রিকায় লেখা পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা খোঁজখবর নিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানী, পরিবেশবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটাই দস্তুর।

তাঁর মতে, এই প্রজাতির ফড়িং দার্জিলিং হিমালয়ে পাওয়া যেতে পারে। তিনি নেওড়া ভ্য়ালির আলুবাড়ি ক্যাম্প এবং জড়িবুটি ক্য়াম্পে তার সন্ধান পেয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, ঝুম চাষের ফলে অনেক সময় নদীর ক্ষতি হয়। অনেক সময় বদলে যায় নদীর গতিপথ। এর প্রভাব পড়ে এই সব প্রাণীর ওপর। ঝুম চাষ ছাড়াও অপরিকল্পিত ভাবে পাহাড়ের ঢালে বাড়ি নির্মাণ, বাঁধ নির্মাণের মতো কারণেও নদীর গতিপথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা ছোট নদীর মৃত্যুও ঘটতে পারে।

Advertisement

কেমন দেখতে সেটিকে
এই ফড়িংটি কালো রঙের ওপরে উজ্জ্বল সবুজ দাগওয়ালা। সেটির বুকের দু'পাশে এবং পিঠের ওপরের সবুজ দাগের নকসার ধরন এবং দেহের শেষ প্রান্তে অবস্থিত পায়ু উপাঙ্গের গঠন দেখে এই প্রজাতিটিকে একই গণের অন্য প্রজাতির থেকে আলাদা করা যায়। মূলত হিমালয় পর্বতমালায় এই গণের ফড়িংগুলিকে পাওয়া যায়। পার্বত্য নদী এবং জলাশয়ে প্রজনন করে। ফড়িংগুলি দুর্লভ প্রকৃতির। চেনাও বেশ শক্ত।

 

Advertisement