শেওড়াফুলিতে যৌনকর্মীর মৃত্যুতে রহস্য।SIR আতঙ্কে যৌনকর্মীর আত্মহত্যার দাবি। শুক্রবার শেওড়াফুলিতে উদ্ধার হল যৌনকর্মীর ঝুলন্ত দেহ। স্টেশন লাগোয়া গড়বাগানের যৌনপল্লীতে নিজের ঘর থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, সকাল থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে যৌনপল্লীর মহিলারাই থানায় খবর দেন। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন চাঁপদানীর বিধায়ক তথা হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুঁইন। আসেন বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো এবং স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর।
অরিন্দম গুঁইনের অভিযোগ, '২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। ভোটার তালিকায় নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্কেই তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। বিজেপি চাইছে ভোটার তালিকা থেকে সাধারণ মানুষের নাম বাদ দিতে। SIR এর নাম করে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। সেই কারণেই এই মৃত্যু।'
স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ সিং জানান, মহিলা প্রায় তিন দশক ধরে ওখানে থাকতেন। স্বামী সন্তানও রয়েছে তাঁর। গত কয়েকদিন ধরেই এসআইআর সংক্রান্ত কাগজ জমা দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগে ছিলেন বলে দাবি। তাঁর কথায়, 'এসআইআর-এর ফর্ম দেওয়া হয়েছিল। হতে পারে ভয়েই এমন সিদ্ধান্ত।'
যৌনপল্লীর এক বাসিন্দার দাবি, শুক্রবার রাতে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয় মহিলার। এরপর ছেলে নিয়ে স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। শনিবার সকালে দেখা যায় দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কোনও সাড়াশব্দ নেই। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
তবে বিজেপি এই মৃত্যুর সঙ্গে এসআইআর এর যোগ মানতে নারাজ। BJP নেতা স্বপন পাল পাল্টা দাবি করেছেন, 'এটি আত্মহত্যা নয়, পারিবারিক অশান্তির জেরে মৃত্যু। তৃণমূল সব কিছুতে এসআইআর আতঙ্ক টেনে এনে রাজনৈতিক রং দিতে চাইছে। এসআইআর আসলে ভুয়ো ভোটার এবং মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার প্রসেস। এখানে ভয় দেখানোর কিছু নেই।'
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মহিলার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।