রাতভর দাপিয়ে বেড়ালো দশ-বারোটি হাতি। শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাতেই ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের। বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের খেত তছনছ করে দিয়েছে হাতির দল। একদিকে যেমন আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। পাশাপাশি চাষের খেত নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত প্রান্তিক চাষীদের।
কারো কুমড়ো খেত, কারো আলু কিংবা করলার খেতের উপর দিয়ে দাপাদাপি করে নষ্ট করে গিয়েছে হাতির দল। কীভাবে এই ক্ষতিপূরণ হবে যেমন জানেন না তারা, তেমনই আবার হাতির দল ফিরে আসবে না, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউই। স্থানীয় বাসিন্দা ফুল কুমার রায় জানিয়েছেন তাঁর খেতের বারোশো মিষ্টি কুমড়ো নষ্ট করে দিয়ে গিয়েছে হাতির দলটি। যে কুমড়োর ওপরই সারা বছরের রোজগার নির্ভর করে তার। এই বছরের ফসল একদিনে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার মাথায় হাত। ক্ষতিপূরণ কিভাবে হবে কিংবা কোনও রকম সাহায্য না পেলে পেটের ভাত জুটবে কীভাবে বুঝতে পারছেন না তাঁরা। তাঁর মতই অবস্থা এলাকার মংলু রায়, সুখানু বর্মনদের। কারও করলার ক্ষেত, কারও বা জমির ধান উপড়ে, মাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে হাতি।
বনকর্মীরা ঠিকমতো হাতির দলকে তাড়িয়ে জঙ্গলে রাখতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের তরফে। বনদপ্তর এর তরফে অবশ্য হাতির দলটিকে তাড়িয়ে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
খবর মিলেছে, নকশালবাড়ি লাগোয়া কার্শিয়াং ডিভিশন মঙ্গলবার থেকে শুধুমাত্র বনদপ্তর এর ওপর ভরসা না করে নিজেরাই রাত জাগার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। যতটা দূরে রাখা যায় হাতির দলকে, ততই নিজেদের মঙ্গল।