scorecardresearch
 

Purba Bardhaman: বর্ধমান: জলমগ্ন রাস্তায় কই মাছ, ধরতে গিয়ে গলায় আটকে মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের

বর্ধমানের জামালপুরের তেলে গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সাগর রায় (৩৫) নামে এক যুবক গলায় কই মাছ আটকে মারা গেছে। সাগর রায় তার স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর পর বাড়ি ফিরছিলেন। জৌগ্রাম স্টেশনে রাত ৮টার সময় ট্রেন থেকে নেমে তারা হাঁটতে শুরু করেন। ততক্ষণে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে রাস্তা ভেসে গেছে এবং জমে থাকা জলে কই মাছ উঠে এসেছে।

Advertisement
কই মাছ। প্রতীকী ছবি কই মাছ। প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • বর্ধমানের জামালপুরের তেলে গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
  • বৃহস্পতিবার রাতে সাগর রায় (৩৫) নামে এক যুবক গলায় কই মাছ আটকে মারা গেছে।

বর্ধমানের জামালপুরের তেলে গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সাগর রায় (৩৫) নামে এক যুবক গলায় কই মাছ আটকে মারা গেছে। সাগর রায় তার স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর পর বাড়ি ফিরছিলেন। জৌগ্রাম স্টেশনে রাত ৮টার সময় ট্রেন থেকে নেমে তারা হাঁটতে শুরু করেন। ততক্ষণে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে রাস্তা ভেসে গেছে এবং জমে থাকা জলে কই মাছ উঠে এসেছে।

সাগর প্রথমে দু'হাতে দু'টি কই মাছ ধরেন। পরে আরেকটি কই মাছ দেখে তিনি তাঁর হাতে থাকা একটি মাছ মুখে রাখেন এবং রাস্তার মাছটি ধরেন। কিন্তু অসাবধানতায় মুখের মাছটি গলায় আটকে যায়। এই পরিস্থিতি দেখে সাগরের স্ত্রী চিৎকার শুরু করেন। আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তড়িঘড়ি সাগরকে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সাগরের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সাগরের বাড়ি হুগলির পাণ্ডুয়ায় রামবোয়া গ্রামে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী জৌগ্রামের তেলে গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সাগরের স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। বছর ছয়েক আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। এই ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়েছেন সাগরের মা লক্ষ্মী রায়। তিনি বলেন, "কই মাছ ধরে মুখে রেখেছিল। তাতেই এই ঘটনা। পাকা রাস্তায় কই মাছ উঠে এসেছিল। খালি হাতে ধরছিল সেই মাছ। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো গেল না।"

আরও পড়ুন

 

Advertisement