নাটকের মতো পটবদল ঘটে চলেছে ঝালদা পুরসভায়। ঝালদায় পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের নির্দেশে আপাতত ঝালদা পুরসভার দায়িত্ব সামলাবেন তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছুয়া। আপাতত প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর। শুক্রবার পুর ও নগরউন্নয়ন দফতর এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, রাজ্যের পুরআইনের ১৭ (৪) ধারা অনুযায়ী এই নিয়োগ করা হল।
দিন কয়েক আগে ঝালদা পুরসভা ফিরে পেয়েছে কংগ্রেস। শনিবার নতুন পুরপ্রধান নিয়োগের জন্য সভা করার কথা ছিল তাদের। তার আগের দিনই এল রাজ্যের নির্দেশ। যা নতুন করে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি করল। শনিবার ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠনের কথা ছিল। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছিল কংগ্রেস।
মোট ১২ আসনের ঝালদা পুরসভা। বর্তমানে কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা ৫। তৃণমূলের হাতে ৫টি আসন। এছাড়া রয়েছেন দুই নির্দল কাউন্সিলর। কয়েক মাস আগে এই দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। ২২ নভেম্বর কংগ্রেস তলবি সভা ডেকে বোর্ডের উপর অনাস্থা প্রস্তাব আনে। শনিবার কংগ্রেসের পাঁচ কাউন্সিলর, নির্দলের দুই কাউন্সিলর ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঘুরপথে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। দলের কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু বলেন,'তৃণমূল কোনও কিছুই হাতছাড়া করতে চাইছে না। তাই এই চক্রান্ত। বোর্ড আমাদেরই হবে। দরকারে আমরা আদালতে যাব। জবা মাছুয়া মানে তো সুরেশ আগরওয়াল। মানুষ সবই বুঝতে পারছেন।' প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন,'এই আইন নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব খুব ভালভাবেই জানেন।'কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা রাজনীতির অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। তিনি বলেছিলেন,'কংগ্রেস এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। আমাদের কাউন্সিলর সংখ্যা ছিল ৬। কংগ্রেসের সংখ্যা ছিল ৫। নির্দল এক। প্রথম থেকে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলাম।'
আরও পড়ুন- 'এবার ভয়ঙ্কর খেলা হবে,' অনুব্রত-স্টাইলে হুঙ্কার সুকান্তরও