
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদের সুর ক্রমশ চড়া হচ্ছে। বিকেল ৫টা পেরোলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্য দিকে, মঙ্গলবার 'স্বাস্থ্য ভবন সাফাই অভিযান' করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবনের কাছে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ প্রদর্শন করছেন তাঁরা। এই সংক্রান্ত সমস্ত খবরের লেটেস্ট আপডেট রইল এখানে...
'প্রশাসন কেন বারবার ব্যারিকেড দিয়ে আটকাচ্ছেন, তারা কি ভয় পাচ্ছে?' নির্যাতিতার মা
আমার ছেলেমেয়েরা আজ রাস্তায়, তাই বাড়িতে থাকতে পারিনি, ছুটে এসেছি এখানে। তোমরা রোগী পরিষেবা দেবে, তা না প্রশাসন তোমাদের কোথায় দাঁড় করিয়েছে? যে প্রশাসন তোমাদের সুরক্ষা দিতে পারেন না, উল্টে তাদের শাস্তির কথা বলছেন? মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে যোগ দিতে বলেছেন, তবে আমার কাছে এটাই উৎসব। প্রশাসন কেন বারবার তোমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকাচ্ছেন, প্রশাসন কি ভয় পাচ্ছে? আমি চাই ব্যারিকেড তুলুন, ওদের সঙ্গে কথা বলুন: মা
নির্যাতিতার দাদা
"আমি তিলোত্তমা, অভয়ার দাদা। প্রশাসন কী লুকিয়েছে জবাব দিতে হবে। আমরা চাই প্রশাসন যেন সমস্ত দাবি গ্রহণ করে আর আপনাদের দাবি মিটিয়ে দেয়। আপনাদের আমার পরিবারের তরফ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমরা চাই যতদিন না তিলোত্তমা বিচার পাচ্ছে আমাদের সঙ্গে থাকুন"
নির্যাতিতার বাবা
"তোমরা একটু ধৈর্য রাখো। আমি চাইব প্রশাসনের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন হোক। প্রশাসন খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করবে। আমি জানি যারা ডাক্তার হন, তাঁরা ভগবান তুল্য। তোমরা বাধ্য হয়েছ এই আন্দোলন করতে। তোমাদের যে দাবি, জাস্টিস যেন অবশ্যই পায়। বিচার আমরা পাবই"
নির্যাতিতার কাকিমা
"আমরা যাই দাবি করি, মুখ্যমন্ত্রী সব দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন। মিথ্যে বলছেন। উনি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছেন। কোনও বাবা মা কি ওই পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন? এটা সম্ভব? তাঁদের ওই মানসিক অবস্থায় তা সম্ভব? উনি যা বলেছেন সম্পূর্ণ মিথ্যে। উনি প্রমাণ চেয়েছেন, তার মানে আমাদের ভিডিও করা উচিত ছিল। আমি পাল্টা প্রশ্ন করছি, উনি যে ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিলেন তা মিথ্যে প্রমাণ করতে পারবেন? তোমরা আমাদের পাশে থাকো, আমরা ঠিক আমাদের মেয়ের বিচার পাব"
আন্দোলনে নির্যাতিতার বাবা-মা
স্বাস্থ্যভবনের সামনে নির্যাতিতার বাবা-মা, যোগ দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে।
রাতভর ধর্না দেবেন ছাত্র-ছাত্রীরা
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাতভর ধর্না দেবেন। এমনটাই জানালেন আন্দোলনকারীরা। রাতে সেখানে থাকার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের তরফে। ত্রিপল বিছিয়ে সেখানেই আছেন এখন তাঁরা।
ছাত্রদের সাংবাদিক সম্মেলন
ছাত্ররা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'আমরা কয়েকটা কথা স্পষ্ট করতে চাই। আমরা কাল থেকে বলছি সরকার সদর্থক বার্তা দিক। এটা কোনও সদর্থক বার্তা নয়। আমরা এর আগে লালবাজারে যখন গিয়েছিলাম, তখন সিপি বলেছিলেন তিনি পদত্যাগ করতে চান। মুখ্যমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করাতে চাননি। কিন্তু আজ যে মেল এল তা আমাদের কাছে অপমানজনক। মেলটি নবান্ন থেকে পাঠানো হয়নি। নেলে লেখা হয়েছে, ১০ জনের বেশি আসতে পারবে না। এটা আমরা অসম্মানজনক বলে মনে করছি। যেভাবে মেলটি এসেছে সেই মেলের সাড়া দেওয়ার জায়গাতে আমরা নেই। যদি ভবিষ্যতে মেল আসে তাহলে ভেবে দেখব। এখন আন্দোলন চলবে। এরপর যদি কোনও সদর্থক বার্তা আসে তাহলে আমরা ভেবে বিবেচনা করতে পারি।'
স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। পুরো পরিবারই সঙ্গে রয়েছেন।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বার্তা
মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করছিলেন। মেল পাঠানো হয়েছিল। ১০ জনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে বেরিয়ে গেছেন নবান্ন থেকে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, পরিষেবা যেন বিঘ্নিত না হয়। সেটা বারবার বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার সদর্থক ভূমিকা নিয়েছেন। তবে ছাত্ররা তাতে কর্ণপাত করেনি।
১২ তারিখ নবান্নে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী
১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যসচিব-সহ শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে রিভিউ মিটিং করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য ও জেলার সব প্রশাসনিক আধিকারিকদের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সন্ধে নামলেও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান
দুপুর থেকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধে। তারপরও আন্দেলন চলছে জুনিয়ার জাক্তারদের। হাতে জলের বোতল দিয়ে সেখানে বসে রয়েছেন ডাক্তাররা। তাঁরা জানান, দাবি না মানা পর্যন্ত এই অবস্থান চলছে।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান
আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবন কর্মসূচি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ প্রদর্শন করছেন তাঁরা। স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছেছে ভ্রাম্যমান শৌচাগার আনা হয়েছে।
প্রতীকী মস্তিষ্ক নিয়ে প্রতিবাদ
'প্রতীকী শিড়দাঁড়া'-র পর এবার 'প্রতীকী মস্তিষ্ক', রজনীগন্ধার মালা হাতে স্বাস্থ্যভবনের কাছে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার 'স্বাস্থ্যভবন সাফাই অভিযান' -এর দাবিতে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন তাঁরা। দাবি তোলেন 'স্বাস্থ্য ভবন'-এর 'ঘুঘুর বাসা' ভাঙার। সঙ্গে স্লোগান তোলেন 'স্বাস্থ্য ভবন হায় হায়!'
কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদের সুর ক্রমশ চড়া হচ্ছে। বিকেল ৫টা পেরোলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা।