গত কয়েকমাসে সুন্দরবন (Sundarbans)-এর জঙ্গলে বাঘের হামলায় একের পর এক মৎস্যজীবীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কী কারণে বার বার বাঘে-মানুষে সংঘাত হচ্ছে, তা জানতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর (Forest Department)।
দিন পাঁচেক আগে সুন্দরবনের হরিখালির জঙ্গল থেকে পূর্ণ বয়স্ক এক বাঘিনীকে ধরে বন দফতর। বাঘিনীর জঙ্গলে শিকার ধরার জন্য অন্যতম সাহায্যকারী দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ায় তার জঙ্গলে শিকার ধরতে অসুবিধা হচ্ছিল। এমনই মনে করে বন দফতর। আর সেই কারণে তাঁকে ফের জঙ্গলে না ছেড়ে দিয়ে ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। কিন্তু তবুও আর কোনও বাঘ সুন্দরবনের পীরখালি, হরি খালি এলাকায় মৎস্যজীবীদের উপর হামলা চালাচ্ছে কিনা, তা জানতে চেষ্টা করে বন দফতর।
আর তাই শনিবার হরিখালির জঙ্গলে আবারও খাঁচা পাতা হয়। সেখানে ধরা পড়ে একটি বাঘ। সেটির গলায় রেডিও কলার (Radio Collar) পরিয়ে রবিবার বিকেলে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত জঙ্গলের মধ্যে বাঘের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর।
সুন্দরবনে বাঘ ও মানুষ কিভাবে মুখোমুখি হচ্ছে, তা জানতে এবার জঙ্গল থেকে বাঘ ধরে তার গলায় রেডিও কলার পড়াল বন দফতর। রাজ্য বনদফতরের বন্যপ্রান শাখা ও ডব্লু ডব্লু এফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় শনিবার সুন্দরবনের বসিরহাট রেঞ্জের হরিখালি থেকে একটি পুরুষ বাঘকে খাঁচা পেতে ধরে বন দফতর।
সেটির গলায় রেডিও কলার (Radio Collar) বসিয়ে রবিবার বিকেলে সেটিকে ফের একই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প মনে করছে এর ফলে রেডিওটেলিমেট্রি প্রযুক্তির মাধ্যমে বাঘ ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও নানা ধরনের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা তাপস দাস বলেন, “ঠিক কী কারণে বাঘ ও মানুষ মুখোমুখি হচ্ছে, সেটা জানার চেষ্টা করছি আমরা। আর তাই জঙ্গলে বাঘের গতিবিধির উপর নজরদারি করতে রেডিও কলার পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”