হেনস্থার শিকার তৃণমূলের রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। দলেরই কিছু নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ জানান তিনি। বিবাহ প্রস্তাব, তাঁর নাম করে টাকা তোলা থেকে কটুক্তি করা হচ্ছে তরুণ নেত্রীকে। এর বিরুদ্ধে দলীয় নেতৃত্বেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন নেত্রী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে কাউন্সিলর পাপিয়া জানান কীভাবে তাঁকে মানসিক হেনস্থা করা হচ্ছে। দলীয় কিছু নেতা-কর্মী প্রতীক কুমার দে, বাপ্পাদা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে তিনি আঙুল তোলেন। তাঁর নাম করে এই নেতা-কর্মীরা তোলাবাজি করছেন। প্রতি মাসে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা ভাগ দেওয়ার কথা বললে পাপিয়া তা প্রত্যাখান করেন। শুধু তাই নয়, যুব নেতা প্রতীক কুমার দে তাঁকে বিবাহের প্রস্তাবও দেন। তাও প্রত্যাখান করা হলে নানাভাবে অপদস্থ করা হয় তৃণমূল নেত্রীকে। তাঁকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হুমকি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নেত্রী। এমনকী প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
তাঁর এ-ও দাবি, একজন পৌরমাতা হিসাবে তাঁরই যদি নিরাপত্তা না থাকে তবে ওয়ার্ডের মানুষেরা সুরক্ষিত থাকবেন কীকরে? পাশাপাশি দলের মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুধু তিনিই নন, ওয়ার্ডের উন্নয়নের কাজ করতে বাধা পেয়েছেন প্রাক্তন কর্মী-নেতৃত্বরা।
তাঁর বাড়িতে চড়াও হওয়া থেকে তাঁকে বিবাহ প্রস্তাব- এ সমস্ত কিছুর প্রমাণস্বরূপ তিনি দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেন।