এসসি কমিশনের পর এবার জাতীয় মহিলা কমিশনও সন্দেশখালিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের সওয়াল করল। সোমবার, সন্দেশখালিতে কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা জানান, আস্থা নেই পুলিশে, রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই। তিনি বলেন, 'দিনের পর দিন মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে। ১৮টা অভিযোগ পেয়েছি। দু’জন ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের উপর মানুষের আস্থা নেই। আমাকে ধরে গ্রামের মহিলারা কাঁদছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া কোনও উপায় নেই।'
উল্লেখ্য, এর আগে এসসি কমিশনও রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছে। তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে ওই সুপারিশ করেন। সন্দেশখালি গিয়েছিল জাতীয় তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে ফিরে গত শুক্রবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ এবং অন্য প্রতিনিধিরা। সেখানেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুপারিশ জানানো হয়।
কেন রাষ্ট্রপতি শাসন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অরুণ বলেন, 'সংবিধানের ৩৩৮ ধারায় বলা হয়েছে, কোনও রাজ্যে তফসিলি জনজাতিভুক্ত মানুষদের যদি সেখানকার সরকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি চাইলে সেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারেন।'
চলতি মাসের শুরুতে দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটে সন্দেশখালিতে। গ্রামের মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মহিলাদের একাংশ দাবি করেছিলেন, দিনের পর দিন তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি সন্দেশখালির হালদারপাড়া, পুকুরপাড়া ও লস্করপাড়ার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন।
জাতীয় মহিলা কমিশনের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে বলা হয়, সন্দেশখালি থেকে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার প্রকাশ্যে এসেছে। নির্যাতিতাদের যাতে দ্রুত নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তার দাবিও জানায় জাতীয় মহিলা কমিশন।