সুবিশাল গেট। বিরাট বাগান। তার মাঝে বিলাসবহুল অট্টালিকা। এক কথায় প্রাসাদোপম। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, 'ডাক্তারবাবু আসতেন মাঝে মাঝে এখানে।' বাংলোর নাম, 'সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা'। এই প্রাসাদের মতো এই বাংলো কি সন্দীপ ঘোষেরই? তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। সিবিআই সূত্রের খবর, ক্যানিংয়ে ১০ বিঘা জমির উপর ওই সুবিশাল বাংলোর মালিক সম্ভবত সন্দীপ ঘোষেরই। ইতিমধ্যেই ওই বাংলো ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
স্থানীয় বাসিন্দারা সিবিআই অফিসারদের কাছে দাবি করেছেন, নারায়ণপুরের এই বাংলোতে সন্দীপ ঘোষ মাঝেমধ্যেই পরিবার নিয়ে আসতেন। বছর দুয়েক আগে তৈরি করেছিলেন। সারাদিন কাটাতেন। আরজি করের ঘটনা ঘটার পর থেকে নারায়ণপুরের সেই বাংলোয় আর দেখা যায়নি সন্দীপ ঘোষকে। এই বাংলো বাড়িকে কেন্দ্র করে কয়েকশো বিঘা সবুজ ঘেরা জমি রয়েছে। সব জমি কার তা জানেন না এলাকার মানুষ। সঙ্গীতা কেন, তা নিয়েও নানা আলোচনা চলছে।
একাধিক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর বলছে, ক্যানিং-২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে এই বাংলো। স্থানীয় এক যুবক জাকির লস্কর এই বাংলোটির দেখাশুনো করেন বলে খবর। ৫ হাজার টাকা বেতনে বাংলো রক্ষীর কাজ করলেও, পরে তাঁকে ৭ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয়।
আরজি করে চিকিৎসক খুন, ধর্ষণ কাণ্ডের পর সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের অপচয়, ভেন্ডার পাইয়ে দেওয়ায় স্বজনপোষণ সহ একগুচ্ছ অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর ওপর। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে হদিশ পাওয়া গেল তাঁর ক্যানিংয়ের বাংলোর। ১০ বিঘা জমির ওপর বড় বাংলো, নাম 'সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা'।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় গত সোমবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন সন্দীপ। আলিপুরের বিশেষ আদালত তাঁকে আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দিয়ে ইডি।