আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। দু'জনকেই আজ এসিজেএম শিয়ালদহে পেশ করা হয়। সন্দীপ ঘোষের নারকো টেস্ট এবং অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করতে চায় সিবিআই।
সন্দীপ ঘোষের নারকো টেস্ট এবং অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদনের শুনানি শিয়ালদহ আদালতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর হবে।
সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে
উল্লেখ্য, এর মাত্র একদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যালল কাউন্সিল সন্দীপ ঘোষের মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে। বৃহস্পতিবার এই মর্মে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে। সেই চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। বুধবারই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। বুধবার এ বিষয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ডা:সুদীপ্ত রায় জানান, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তার কারণ দর্শানোর জন্য তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কেটে গিয়েছে এগারো দিন। মেলেনি কোনও উত্তর। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
এর আগে টালা থানার ওসি-ও সাসপেন্ড হয়েছেন
উল্লেখ্য, এক আগে অভিজিৎ মণ্ডলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিষেবা বিধি অনুযায়ী অনুযায়ী তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর আওতায় কোনও সরকারি কর্মকর্তাকে কোনও আইনে ৪৮ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। অভিজিৎ মণ্ডলকে ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে সিবিআই।
ধর্না তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা
শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, 'সিবিআইয়ের কাছে আমাদের অনুরোধ, এই কেসটি ফাস্টট্র্যাক কোর্টে নিতে হবে। ধর্ষকরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভাবছে তারা যা খুশি করতে পারে।' তিনি বলেন, 'আমাদের স্বাস্থ্যভবনে যে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল, সব পূরণ না হলেও কিছুটা হয়েছে. আমরা এখনই কর্মবিরতি থেকে সোমবার থেকে ফিরে আসব। আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, যে যে পরিবর্তন দরকার, পরিকাঠামোগত পরিবর্তন, থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, সেক্ষেত্রে সরকার ভূমিকা না নিলে আমরা আন্দোলন আরও বৃহত্তর পর্যায়ে চালিয়ে যাব।' প্রতিবাদী চিকিৎসক বলেন, '৯ তারিখ যে ঘটনা ঘটেছিল, তার পিছনে এই থ্রেট কালচার বড় ভূমিকা পালন করেছিল।'
এদিন সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছানোর পর, জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, 'আমাদের দাবি কত দ্রুত কার্যকর হবে? আমাদের দাবি যদি লাগু না হয়, তাহলে আমরা জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আরও তীব্র আন্দোলন করব'।