Rupashree Prakalpa: বিয়ের মরসুমে রেকর্ড সংখ্যায় পাত্রী পেলেন রূপশ্রীর টাকা, কীভাবে আবেদন করতে হয়?

উৎসবের মরশুমে রাজ্যের চার হাজার ৮০০ পাত্রী বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার মোট ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পাত্রীকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভার পরই বেশ কিছু পাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।

Advertisement
বিয়ের মরসুমে রেকর্ড সংখ্যায় পাত্রী পেলেন রূপশ্রীর টাকা, কীভাবে আবেদন করতে হয়?rupashree scheme
হাইলাইটস
  • উৎসবের মরশুমে রাজ্যের চার হাজার ৮০০ পাত্রী বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন।
  • তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার মোট ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

উৎসবের মরশুমে রাজ্যের চার হাজার ৮০০ পাত্রী বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার মোট ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পাত্রীকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভার পরই বেশ কিছু পাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানের মঞ্চ থেকে কয়েকজন পাত্রীকে শাড়ি সহ বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেন। সম্প্রতি রূপশ্রী প্রকল্পে যারা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি জেলায় রূপশ্রী প্রকল্পে অনিয়ম ধরা পড়েছে। গৃহবধূদের নামে কার্ড তৈরি করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন আধিকারিকরা পাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে যাচাই করছেন, বিয়ে হচ্ছে কি না। তার পরেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে।

রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, 'আগে বাবা-মায়েরা মেয়ের বিয়ের জন্য চিন্তিত থাকতেন। অনেকেই ধার করে বা সম্পত্তি বিক্রি করে বিয়ে করতেন। এখন রূপশ্রী এবং কন্যাশ্রী প্রকল্পে মেয়েরা বিয়ের আগে ২৫ হাজার টাকা পাচ্ছেন। ফলে বাবা-মায়েদের চাপ কমেছে এবং বিয়ে হচ্ছে যথাযথভাবে।'

প্রশাসন জানিয়েছে, এই প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য বিয়ের কার্ড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। পরিবারের আয়ও যাচাই করা হয়। এছাড়া, প্রকল্পের ফলে নাবালিকাদের বিয়ে আটকানোও সম্ভব হচ্ছে। প্রকল্প অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কেউ সুবিধা পায় না।

অনেকের মতে, কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্প বহু বাবা-মাকে বাঁচিয়েছে। পড়াশোনার খরচ কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। বিয়ের বয়সে রূপশ্রী প্রকল্পে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। প্রকল্পের ফলে রাজ্যে মেয়েদের বিয়ে সহজ, সুরক্ষিত এবং সমৃদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও, পরিবারিক আর্থিক চাপ কমার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানের ধুমধামও বেড়েছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement