Samosa Jalebi Warning Mamata: শিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে রাজ্য সরকারের কী অবস্থান? স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Samosa Jalebi Warning Mamata: শিঙাড়া-জিলিপি ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক্স-এ পোস্ট করেন তিনি।

Advertisement
শিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে রাজ্য সরকারের কী অবস্থান? স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রীশিঙাড়া-জিলিপি ইস্যুতে যা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাইলাইটস
  • শিঙাড়া-জিলিপি ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
  • মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক্স-এ পোস্ট করেন তিনি।
  • মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'মানুষের খাদ্যাভাসে নাক গলানো উচিত নয়।'

Samosa Jalebi Warning Mamata: শিঙাড়া-জিলিপি ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক্স-এ পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, 'কিছু মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে নাকি এখন থেকে শিঙাড়া-জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও নির্দেশ নয়। আমরা মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করছি না।' মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'শিঙাড়া-জিলিপি অন্য রাজ্যেও জনপ্রিয়। সেখানকার মানুষও এগুলি ভালোবাসেন। মানুষের খাদ্যাভাসে নাক গলানো উচিত নয়।'

শিঙাড়া-জিলিপি ওয়ার্নিং নিয়ে বিতর্ক
শিঙাড়া, জিলিপি বা লাড্ডুর প্যাকেটে নাকি এবার থেকে ‘হেলথ ওয়ার্নিং’ বসবে! এমনই খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও পিআইবি (Press Information Bureau) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

কী বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক?
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, 'শিঙাড়া-জিলিপির মতো জনপ্রিয় খাবারে কোনও সতর্কবার্তা জারি করা হয়নি। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যে, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন।'

পিআইবি-র বিবৃতি অনুযায়ী, কেন্দ্র কোনও ফুড লেবেলিং-এর নির্দেশ দেয়নি। বরং কর্মস্থলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়াতে একটি জনস্বার্থে সচেতনতামূলক পরামর্শ জারি করা হয়েছে।

সেই পরামর্শে বলা হয়েছে, অফিস, ক্যান্টিন, লবি, ক্যাফেটেরিয়া ও মিটিং রুমে ‘তেল ও চিনির বোর্ড’ বসানো হবে। এই বোর্ডের মাধ্যমে জানানো হবে কোন খাবারে কতটা ফ্যাট ও অতিরিক্ত চিনি থাকে।

ওবেসিটি রুখতেই এই উদ্যোগ
ভারতে ওবেসিটির(স্থুলত্ব) রেট আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। তাই সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই বোর্ডগুলির মূল লক্ষ্য হবে মানুষের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন আনা।

প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে একটু নজর রাখলেই বহু রোগ এড়ানো সম্ভব। অতিরিক্ত তেল ও চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই খাবার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই পরামর্শ।

পিআইবি-র ফ্যাক্টচেক এই নিয়ে একটি পোস্টও করেছে:

 

পিআইবি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, 'কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে, @MoHFW_INDIA সিঙাড়া, জিলিপি, লাড্ডুর মতো খাবারে হেল্থ অ্যালার্ট জারি করেছে। এই দাবি ভুয়ো। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায় কোনও খাবার বিক্রেতাকেই সতর্কবার্তা লাগানোর কথা বলা হয়নি। ভারতীয় স্ন্যাক্সের বিরুদ্ধেও কোনও পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি।' 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement