সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হল কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দ্রুত শুনানি এখন সম্ভব নয়। মামলাকারী সংযুক্তা সামন্ত সন্দেশখালি এলাকায় সিআরপিএফ-এর পাশাপাশি মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চেয়ে আবেদন করেন।
তবে মামলাকারী যেহেতু সন্দেশখালি এলাকার বাসিন্দার নন, পাশাপাশি তিনি সেখানে যাওয়ার চেষ্টাও করেননি, তাই এই মুহূর্তে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ মনে করছে তাঁর মামলার দ্রুত শুনানির প্রয়োজন নেই। তালিকা অনুযায়ী মামলাকারীর মামলার শুনানি হবে বলেই জানান হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তালিকা মেনেই শুনানি হবে সন্দেশখালি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলার। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী কি সন্দেশখালি গিয়েছিলেন? তিনি কি কোনও সমাজকর্মী? তা হলে কেন এই মামলার দ্রুত শুনানি করতে হবে?
সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে ওই আইনজীবীর আর্জি ছিল, সন্দেশখালিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকদের মার খাওয়ার সময় থেকেই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে সন্দেশখালি। তার পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, শেখ শাহজাহান এবং তাঁর শাগরেদদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব গ্রামবাসী বেছে নিয়েছেন প্রতিবাদের পথ। মহিলাদের ওপর অত্যাচারের কাহিনি এখন গোটা দেশে আলোচনার বিষয়।