প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেদেখা করলেন সন্দেশখালির ৫ মহিলা। প্রধানমন্ত্রীকে তারা জানান, এখনও তাঁদের হুমকি দিয়ে চলেছেন শেখ শাহজাহানের সঙ্গীরা।
বুধবার বারাসতে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন সন্দেশখালির মহিলারা। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও জমি দখলের অভিযোগ জানান তাঁরা।
বিজেপি নেতৃত্ব সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় কেঁদে ফেলেন মহিলারা। তাঁদের কথা ধৈর্য্য ধরে শোনেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বারাসতের সমাবেশে ভাষণের সময়, প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মাতঙ্গিনী হাজরা, কল্পনা দাস, ননীবালা দেবী, প্রীতিলতার মতো নারীশক্তি দিয়েছে এই মাটি।কিন্তু এখানেই মা বোনেদের সঙ্গে অত্যাচার করে TMC ঘোর পাপ করেছে। টিএমসি সরকার দোষীদের বাঁচাতে পুরো চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রথমে হাইকোর্ট, তারপর সুপ্রিম কোর্টেও টিএমসি সরকার ধাক্কা খেয়েছে।'
'সন্দেশখালির ঘটনা পুরো দেশের কাছে লজ্জার। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই বিষয়গুলিকে পাত্তা দেয় না। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযুক্তদের রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছে,' বলেন তিনি।
বিজেপি বিধায়ক অগ্নি মিত্রা পাল বলেন, 'সন্দেশখালির নির্যাতনের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। ৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিলেন। তাঁরা কথা বলেছেন।' অগ্নিমিত্রার অভিযোগ সন্দেশখালীর মা-বোনেরা যখন নির্যাতিতা হচ্ছে তখন তাদের পাশে দাঁড়ান নি। উল্টে তিনি রিয়ালিটি শো তে রুটি বেলছেন।
সন্দেশখালির অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন। বুধবার হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এদিন বিকেল ৪.১৫-র মধ্যে তাঁকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে।
বারাসাতের জনসভার আগে, এদিন এসপ্ল্য়ানেড-হাওড়া মেট্রোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মেট্রো-কর্মী, পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। গঙ্গার নীচের সুড়ঙ্গ দিয়েও মেট্রোয় যাত্রা করেন তিনি। এরপর হাওড়া ময়দান থেকে চপারে পৌঁছে যান দমদম এয়ারপোর্ট। সেখান থেকে সড়কপথে বারাসাত যান প্রধানমন্ত্রী।