ভাঙড়ে নওশাদের দলকে হুমকি TMC বিধায়ক শওকতেরপ্রকাশ্য সভায় আইএসএফ নেতাকে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের শাসকদলের এক বিধায়ক। তাঁর হুঁশিয়ারি, 'মাটিতে পুঁতে ফেলে দেব। তোমার রাজনৈতিক বাবারাও বাঁচাতে পারবে না।' যদিও এই হুঁশিয়ারির পর ওই তৃণমূল বিধায়ককে পাল্টা হুমকি দিয়েছেন আইএসএফের নেতাও। আমরা যার কথা বলছি তিনি ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। আইএসএফ নেতা কারিমুল ইসলামের উদ্দেশে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি শওকত ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ককেও সতর্ক করেন।
ভাঙড়, ভোট এগিয়ে এলেই এই দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই মাটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বোমা উদ্ধার থেকে শুরু করে গোলাগুলি,লেগেই থাকে। আর এই ভাঙড়ে আইএসএফ জয়ী হওয়ার পর আসন্ন ২০২৬-এ এই আসন পুনরুদ্ধারের জন্য কোনও কসুর করছে না রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা ও ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দ্বৈরথ এখন রাজ্য রাজনীতির চর্চার বিষয়। একে অন্যের বিরুদ্ধে মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্য প্রায়ই শোনা যায়। সেই ভাঙড়ের মাটিতে দাঁড়িয়েই আইএসএফের এক নেতাকে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে শওকত মোল্লাকে।
ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাটাডাঙায় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজিত জনসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। হাজারো কর্মী-সমর্থকের সামনে থেকে তিনি নাম না করে আইএসএফ নেতা কারিমুল ইসলামকে উদ্দেশ করে বলেন, 'মাটিতে পুঁতে ফেলে দেবো, তোমার বাপ নওশাদ আর আব্বাসও বাঁচাতে পারবে না।' ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও কড়া সুরে সতর্ক করেন শওকত মোল্লা। দাবি করেন, 'তোর দলের কেউ আমাদের গাড়ির সামনে নোংরামি করলে ভাঙ্গড়ে ঢুকতেই পারবি না। তোর ভাঙড়ে ঢোকার ক্ষমতা নেই।'
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নওশাদ জানান, তিনি শওকতের হুমকিকে কিছুই মনে করেন না। তার কথায়, 'শওকতের মতো নেতা অনেক আছে। আমি ভয় পাই না।' একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ৩ তারিখে ক্যানিং পূর্বে সভা করতে যাবেন এবং চ্যালেঞ্জ ছোড়েন,'শওকতের যদি ক্ষমতা থাকে, রুখে দেখাক।' SIR নিয়ে এই শওকত মোল্লা বলেন, রাজ্যে প্রায় কুড়ি জন মানুষ জানে শেষ হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে প্রাণে শেষ করার খেলা খেলছে। মৃত্যু মিছিলের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকেই দায়ী করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ভাঙড়ের মানুষ অনেক অত্যাচার সহ্য করেছে। দলের ভিতরে থেকে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। শওকত মোল্লা আরও বলেন, যদি কেউ নোংরামি করে তাহলে ছাড়া হবে না। আগামীদেনে চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।
শওকতের ‘মাটিতে পুঁতে দেওয়ার’ মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙড়ের রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়ে গেল এই মন্তব্যে।
রিপোর্টারঃ প্রসেনজিৎ সাহা