Pandua: সরস্বতী বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজের তাণ্ডব, পাণ্ডুয়ায় অশান্তি থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

হুগলির পান্ডুয়ায় সরস্বতী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ অশান্তির ছড়াল। ডিজে ও মাইক বন্ধ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় যুবকদের, যা পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, পুলিশের ওপর ইটবৃষ্টি হয়। এবং এতে এক এএসআই-সহ একাধিক পুলিশকর্মী আহত হন।

Advertisement
সরস্বতী বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজের তাণ্ডব, পাণ্ডুয়ায় অশান্তি থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশপাণ্ডুয়ায় অশান্তি।- ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • হুগলির পান্ডুয়ায় সরস্বতী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ অশান্তির ছড়াল।
  • ডিজে ও মাইক বন্ধ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় যুবকদের, যা পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়।

হুগলির পান্ডুয়ায় সরস্বতী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ অশান্তির ছড়াল। ডিজে ও মাইক বন্ধ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় যুবকদের, যা পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, পুলিশের ওপর ইটবৃষ্টি হয়। এবং এতে এক এএসআই-সহ একাধিক পুলিশকর্মী আহত হন।

কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত?
১০ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে, তাই হুগলি জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, উচ্চ শব্দে ডিজে ও মাইক বাজানো যাবে না। কিন্তু পান্ডুয়া থানার নিয়াল ও নওপাড়া এলাকায় সরস্বতী পুজোর বিসর্জন শোভাযাত্রায় বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা ডিজে বক্স উচ্চস্বরে বাজানো হচ্ছিল।

এই খবর পান্ডুয়া থানায় পৌঁছালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে মাইক ও ডিজে বন্ধ করতে বলে। তখনই কিছু যুবক পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন পুলিশ মাইক বন্ধ করার চেষ্টা করে।

পুলিশের ওপর হামলা, গুরুতর আহত দুই পুলিশকর্মী
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বচসার মধ্যেই উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি শুরু করে। এতে পান্ডুয়া থানার এএসআই রাজদেব হাজরা-র মাথা ফেটে যায় এবং ভিলেজ পুলিশ সুদীপ ঘোষ গুরুতর আহত হন। তাঁর বুকের পাঁজরে চোট লাগে। তাঁদের দুজনকেই দ্রুত পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন, গ্রেফতার ৩০ জন
ঘটনার খবর পেয়েই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (ক্রাইম) অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র, মগরা সিআই সৌমেন বিশ্বাস, ও পাণ্ডুয়া থানার ওসি পলাশ চন্দ্র বিশ্বাস-এর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এলাকায় অভিযান চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি মাইক ও বৈদ্যুতিক যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করে।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, এলাকায় চাঞ্চল্য
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের এসপি কামনাশিস সেন জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়াল ও নওপাড়া গ্রামে মোতায়েন রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য প্রশাসন কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।

Advertisement

আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন ও জনসাধারণের নিরাপত্তা
এই ঘটনায় পুলিশের উপর সরাসরি আক্রমণ হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পুলিশের ভূমিকা দেশের সংবিধান স্বীকৃত এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু সেই পুলিশ আক্রান্ত হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এই ঘটনার ফলে পান্ডুয়া-সহ গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

সংবাদদাতাঃ ভোলানাথ সাহা

 

POST A COMMENT
Advertisement