ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে বাংলাদেশে ফিরতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৭ অনুপ্রবেশকারী। নদিয়ার ধানতলা থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করেছে বলে খবর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ধানতলা থানার অন্তর্গত দত্তপুলিয়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল ওই বাংলাদেশি নাগরিকরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হানা দেয় পুলিশ। আটক করা হয় বাংলাদেশিদের। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বাংলাদেশিরা কয়েক মাস আগে মিডলম্যানের সহযোগিতায় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। এরপর কর্মসূত্রে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। পুলিশ খবর পেতেই গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। শনিবার ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রাসঙ্গিক মামলা রুজু করে রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে যে মিডলম্যানের সহযোগিতায় বাংলাদেশিরা গা ঢাকা দিয়েছিল সেই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজক পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন। যদিও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইতিমধ্যে BSF-এর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির পর বেড়েছে অনুপ্রবেশের সংখ্যা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যুদ্ধের আবহে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা দেশে ফেরার চেষ্টা করছে। তার আগেই পুলিশের অতি সক্রিয়তায় ধরা পড়ছে একের পর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।
কিছু দিন আগেই ১২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছিল রানাঘাট পুলিশ। দুই শিশুও ছিল সেই তালিকায়। বেআইনি ভাবে তাঁরা ভারতে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বাংলাদেশিরা ৩-৪ বছর আগে ভারতে ঢুকেছিলেন। তারপরে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সূত্রের দাবি, ভারতীয় কয়েক জনের সাহায্যে ধৃতরা বেআইনি ভাবে বাংলাদেশে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় হাঁসখালি থানার পুলিশর একটি দল। তারপরেই ১২ জনকে পাকড়াও করা হয়। অন্য দিকে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের যে সব ভারতীয় সাহায্য করছেন, তাঁদেরও ধরতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মাসে রানাঘাট পুলিশ জেলায় প্রায় ৪০০ জন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সীমান্তে BSF-এর নজরদারি সত্ত্বেও কীভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে পুলিশের বক্তব্য, অনুপ্রবেশ রোখা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।
রিপোর্টিং: সুরজিৎ দাস