শান্তিনিকেতনের কাছে গড়ে উঠছে সাংস্কৃতিক উপনগরী 'গীতবিতান'

হিডকো (HIDCO) সূত্রে খবর, 'গীতবিতান' (Gitabitan) তৈরি হচ্ছে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)-এর খুব কাছে। ১০০ একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে ওই সংস্কৃতি-উপনগরী। তা বানানোর ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement
শান্তিনিকেতনের কাছে গড়ে উঠছে সাংস্কৃতিক উপনগরী 'গীতবিতান'তৈরি হতে চলা বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় (বাঁদিকে), 'গীতবিতান'-এ এমনই বাড়ি তৈরি হতে চলেছে। ছবি সৌজন্য: টুইটার
হাইলাইটস
  • শান্তিনিকেতনের কাছে গড়ে উঠছে এক উপনগরী
  • যাকে রাজ্যের সাংস্কৃতিক জনপদ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে
  • শিক্ষা, শিল্প, প্রযুক্তি- সবই থাকবে হাত ধরাধরি করে

শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)-এর কাছে গড়ে উঠছে এক উপনগরী। যাকে রাজ্যের সাংস্কৃতিক জনপদ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষা, শিল্প, প্রযুক্তি- সবই থাকবে হাত ধরাধরি করে। তেমন ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে সেটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই উপনগরীর নাম রেখেছেন 'গীতবিতান' (Gitabitan)।

তার কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। এটি তৈরি করছে হিডকো (HIDCO)। পর্যটক থেকে পড়ুয়া- সবার আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠবে উপনগরী 'গীতবিতান'। বেশ কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকার 'গীতবিতান' (Gitabitan) তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। 

হিডকো (HIDCO) সূত্রে খবর, 'গীতবিতান' (Gitabitan) তৈরি হচ্ছে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)-এর খুব কাছে। ১০০ একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে ওই সংস্কৃতি-উপনগরী। তা বানানোর ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন চলছে ফিনিশিং টাচ।

খুব শিগগিরি সে কাজ মিটিয়ে ফেলা হবে। সেখানে বিভিন্ন মাপের জমি রয়েছে। আড়াই কাঠা, চার কাঠা এবং ছ'কাঠা করে জমির প্লট রয়েছে তৈরি হতে চলা 'গীতবিতান' (Gitabitan)-এ।

কী কী থাকবে
'গীতবিতান' (Gitabitan)-এ খুব বড় সাংস্কৃতিক প্লাজা। যার চারিদিকে অ্যাম্ফিথিয়েটার। এর পাশাপাশি শিল্পীদের থাকার জায়গা, তাঁদের বিক্রি করার জায়গা রয়েছে। তার চারিদিকে বিভিন্ন ধরনের বাড়ি গড়ে উঠবে। আর্থিক ভাবে দুর্বল বসবাস করেন, তাঁদের জন্য ফ্ল্যাট করা হয়েছে। এমনই জানাচ্ছে হিডকো (HIDCO)।

তার উল্টোদিকে রয়েছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়। সেটি তৈরির কাজ চলছে। যেটা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে শেষ হয়ে যাবে। 

ওয়েবেলের আইটি পার্ক আছে। ক্ষুদ্র শিল্প প্রদর্শন এবং উৎপাদন হাব তৈরি হচ্ছে। বোলপুর থেকে সামান্য দূরে রয়েছে 'গীতবিতান' (Gitabitan)। যেখানে সেটি নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে, সেই জায়গাটির নাম শিবতলা।

খুব সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। পর্যটটকদের আকর্ষণ করবে। তরুণেরা সেখানে পড়াশনা করবেন। ক্ষুদ্রশিল্পীরা কাজ করবেন। তথ্যপ্রযুক্তিও চর্চা হবে। সব মিলিয়ে সব রকমের মানুষজন সেখানে দিব্যি থাকতে পারবেন।

হিডকো বিশ্ববিদ্যালয় এবং শহর গড়ে তুলছে। আর শিল্পীদের জায়গা ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প দফতর তৈরির দায়িত্বে রয়েছে। সেখানকার প্লট সবার কাছে তুলে দেওয়া হবে লটারি করে। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement