Sandeshkhali Shahjahan: মাছ ধরা, জমি দখলের টাকা কোথায় গেল? ফের শাহজাহানকে হেফাজতে পেল ED

শনিবার শেখ শাহজাহানের ভাই সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল CBI। শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর, সন্দেশখালি TMC ছাত্র সংগঠনের সভাপতি মফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লাকে রবিবার আদালতে পেশ করা হবে।

Advertisement
মাছ ধরা, জমি দখলের টাকা কোথায় গেল? ফের শাহজাহানকে হেফাজতে পেল EDমাছ ধরা, জমি দখলের টাকা কোথায় গেল? ফের শাহজাহানকে হেফাজতে পেল ED
হাইলাইটস
  • শনিবার শেখ শাহজাহানের ভাই সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল CBI।
  • শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর, সন্দেশখালি TMC ছাত্র সংগঠনের সভাপতি মফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লাকে রবিবার আদালতে পেশ করা হবে।
  • কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দায়ের করা ৩টি এফআইআর নিয়েছে সিবিআই।

শেখ শাহজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে শুনানির সময় শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য সওয়াল করেন ইডির আইনজীবীরা। সন্দেশখালির পাশাপাশি গোটা দেশকে বিচার দিতে শাহজাহানকে তাদের হেফাজতে পাঠানো উচিত বলে দাবি করে। উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর হেফাজতের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সোমবার এখানকার একটি আদালত মাছ চাষের আড়ালে তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেফতার শাহজাহান শেখকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)র দাবিতে ১৩ দিনের হেফাজতে মঞ্জুর করেছে। বর্তমানে সাসপেন্ড তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে শনিবার বসিরহাট জেল থেকে গ্রেফতার করেছে ইডি। যেখানে তিনি আরেকটি অর্থ পাচারের মামলায় ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে এজেন্সি কর্মকর্তাদের উপর জনতাকে দিয়ে হামলা করায় বলে অভিযোগ রয়েছে। শেখের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে, পিএমএলএ কোর্টের বিচারক শুভেন্দু সাহা ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি-র কাছে তার হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

এজেন্সির পক্ষে আদালতে হাজিরা দিয়ে ড.অ্যাডভোকেট অরিজিৎ চক্রবর্তী শেখের ইডি হেফাজতে প্রার্থনা করেছিলেন যাতে জমি দখলের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের অপব্যবহার নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। মাছ ধরার ব্যবসার আড়ালে অসহায় গ্রামবাসীর কাছ থেকে, রেশন বন্টন কেলেঙ্কারির মামলায় টাকাগুলি কোথায় জানতে চায় ইডি।

সোমবার আদালতে ইডি-র তরফে অভিযোগ জানানো হয়, ভেড়ির ব্যবসার আড়ালে কালো টাকা পাচারের ব্যবস্থা করেছিল সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। আদিবাসীদের জমি ও ভেড়ি দখল করেছিল। এছাড়াও সিন্ডিকেট খুলে সন্দেশখালিতে জোর করে সাধারণ মানুষের জমি জবরদখল করত। কালো টাকা পাচারের জন্য এস কে সাবিনা নামে একটি কোম্পানিও খুলেছিল সে। তার মাধ্যমেই বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কাজ থেকে সংগ্রহ করা কালো টাকা নানা জায়গায় পাচার করত শাহজাহান। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তিন জন গোপন জবানবন্দিও দিয়েছে।

রেশন বন্টন কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান ইডি টিমের উপর হামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তভার নেয় সিআইডি। দীর্ঘ সময় পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১০ মার্চ, আদালত তাঁকে চার দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিল। আপাতত তা ২২ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement