মালদার ভুতনি থানার দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গারামটোলা এলাকায় খেলতে গিয়ে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল ৯ বছরের এক শিশুর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃত শিশুটির নাম আদিত্য ঘোষ (৯)। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। জানা গিয়েছে, নতুন নির্মীয়মাণ বাড়িতে দুই ভাই মিলে খেলছিল। হঠাৎই মা গিয়ে দেখতে পান আদিত্য ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে ভুতনি দিয়ারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবারের সদস্যরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না, এত কম বয়সের কোনও শিশু আত্মহত্যার মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, খেলতে খেলতে ভুলবশত দড়ি গলায় পেঁচিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে কোনও অজানা রহস্য আছে কি না, তা নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মত, নতুন বাড়ির নির্মাণস্থলে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। খেলতে খেলতে আদিত্য কোনওভাবে বাঁধা দড়ির ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি উঠছে।
ভুতনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। পাশাপাশি পরিবারের বক্তব্য ও স্থানীয়দের বক্তব্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে দুর্ঘটনা বলেই মনে করছে, তবে আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু — সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।
হঠাৎ করে একটি শিশু প্রাণ হারানোয় গ্রাম জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্কুলের সহপাঠীরা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবং প্রতিবেশীরা শোকস্তব্ধ।