scorecardresearch
 

Load Shedding, Power Cut: কেন কারেন্ট নেই? উত্তর মিলছে না রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কোনও নম্বরে ফোন করেই

WBSEDCL Consumer Support Service: ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোড শেডিং-পাওয়ার কাট! বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতেই নাকাল পর্ষদের লক্ষ লক্ষ গ্রাহক। জানা যাচ্ছে না কারেন্ট না থাকার কারণ। কী সমস্যা হয়েছে বা কতক্ষণে সমস্যা মিটবে এমন কোনও তথ্যই থাকছে না টোল ফ্রি নম্বরের ওপারে বসে থাকা পর্ষদ প্রতিনিধিদের কাছে।

Advertisement
কেন কারেন্ট নেই? উত্তর মিলছে না রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কোনও নম্বরে ফোন করেই! কেন কারেন্ট নেই? উত্তর মিলছে না রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কোনও নম্বরে ফোন করেই!
হাইলাইটস
  • ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোড শেডিং-পাওয়ার কাট!
  • বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতেই নাকাল পর্ষদের লক্ষ লক্ষ গ্রাহক।
  • জানা যাচ্ছে না কারেন্ট না থাকার কারণ।

WBSEDCL Consumer Support Service: ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোড শেডিং-পাওয়ার কাট! বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতেই নাকাল পর্ষদের লক্ষ লক্ষ গ্রাহক। বিদ্যুৎ ঘাটতির জেরে ব্যাপক বিভ্রাট দেখা দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। দিনে ও রাতে মিলিয়ে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা করে লোডশেডিং চলছে। দীর্ঘসময় ধরে একটানা বিদ্যুৎ না থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকার হাজার হাজার পর্ষদ গ্রাহক, সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। একে তীব্র গরম, তার উপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় নাজেহাল হতে হচ্ছে আট থেকে আশি বছরের সকলকেই।

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়, বর্ধমান, আসানশোল, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় লোড শেডিং-পাওয়ার কাট হচ্ছে। গভীর রাতে কারেন্ট যাওয়াতে ঘুমের বেঘাত হচ্ছে বাচ্চা থেকে বুড়ো— সকলেরই।

পর্ষদ গ্রাহক পরিষেবা প্রতিনিধিরা কতটা সাহায্য করতে পারেন? 
এই গরমে বারবার লোড শেডিংয়ে বাড়িতে অসুস্থ সদস্যদের সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু তার থেকেও বড় সমস্যা হল, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের টোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ জানালেও সমাধান মিলছে না। জানা যাচ্ছে না কারেন্ট না থাকার কারণ। কী সমস্যা হয়েছে বা কতক্ষণে সমস্যা মিটবে এমন কোনও তথ্যই থাকছে না টোল ফ্রি নম্বরের ওপারে বসে থাকা পর্ষদ প্রতিনিধিদের কাছে।

আরও পড়ুন

রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের হেল্পলাইনে ৫ জোনের ‘সেন্ট্রালাইজড’ গ্রাহক পরিষেবা
পর্ষদের এক গ্রাহক পরিষেবা প্রতিনিধি জানান, রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ বন্টনের বিশাল এলাকাকে মোট পাঁচটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। কলকাতা, মেদিনীপুর, বর্ধমান, বহরমপুর এবং শিলিগুড়ি— রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ পর্ষদের এই পাঁচটি জোনের গ্রাহক পরিষেবা বছর আটেক আগেই ‘সেন্ট্রালাইজ’ বা একত্রিকরণ হয়েছে। আগে জোন ভিত্তিক গ্রাহক পরিষেবা মিলত, জানা যেত কারেন্ট না থাকার কারণও।

রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের হেল্পলাইনে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কোনও তথ্য থাকে না 
কিন্তু এই ‘সেন্ট্রালাইজড’ গ্রাহক পরিষেবায় কলকাতা জোনের গ্রাহকের ফোন হয়তো ঢুকছে মেদিনীপুর জোনে বসে থাকা প্রতিনিধির কাছে। পাশাপাশি, মেদিনীপুর জোনের গ্রাহকের ফোন হয়তো ঢুকছে বহরমপুর বা শিলিগুড়ি জোনে বসে থাকা কোনও প্রতিনিধির কাছে। কিন্তু সমস্যা হল, নতুন ব্যবস্থায় কোনও জোনের গ্রাহক পরিষেবা প্রতিনিধির কাছেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কোনও তথ্য থাকে না। ফলে, গ্রাহকের অভিযোগ নেওয়া ছাড়া আর কোনও সাহায্য করারই উপায় নেই এই প্রতিনিধিদের কাছে।

Advertisement

প্রায় বছর তেরো ধরে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদে কর্মরত ওই প্রতিনিধি জানান, গ্রাহক ফোন করে তাঁর এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার কারণ জানতে চাইলে তাঁকে স্থানীয় বিদ্যুৎ পর্ষদ অফিসের ল্যান্ড লাইন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, বিদ্যুৎ পর্ষদের কোনও স্থানীয় অফিসের ল্যান্ড লাইন নম্বরই বোধহয় কাজ করে না বা লাইন ব্যস্ত থাকে। ফলে সেখানে ফোন করেও গ্রাহক জানতে পারেন না, ঠিক কেন তাঁর এলাকায় কারেন্ট নেই। আর এই তথ্য তাঁরা জানতে পেরেছেন রাজ্যের সমস্ত জোন থেকে আসা গ্রাহকদের অভিযোগের ফোন কল থেকে। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কন্ট্রোল রুমের দুটি নম্বর যথাক্রমে 8900793503 এবং 8900793504। এই দুটি নম্বরে ফোন করেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। কারণ, তাঁরাও স্থানীয় পর্ষদ অফিসের নম্বরে ফোন করেই কারেন্ট না থাকার কারণ জেনে নিতে বলছেন। অথচ, স্থানীয় পর্ষদ অফিসের নম্বর হয় সারাক্ষণ ব্যস্ত, নয়তো তাতে ফোন লাগছে না। 

কী ভাবে জানা যাবে এলাকায় কারেন্ট না থাকার কারণ?
তাহলে যে এলাকায় দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোড শেডিং-পাওয়ার কাট চলছে সেখানকার গ্রাহকরা এর কারণ জানবেন কী করে? কী সমস্যা হয়েছে, কতক্ষণে কারেন্ট আসবে? এই স্বাভাবিক, সাধারণ প্রশ্নগুলির উত্তর মিলবে কীকরে? বিদ্যুৎ পর্ষদের ওই প্রতিনিধি জানান, স্থানীয় অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের কাছেই ওই এলাকার যাবতীয় তথ্য থাকে। কিন্তু, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের থেকে কারেন্ট না থাকার কারণ জানার জন্য স্থানীয় অফিসে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই স্থানীয় পর্ষদ গ্রাহকদের কাছে। কারণ, অফিসের ল্যান্ড ফোনে ফোন ঢোকে না অথবা ব্যস্ত থাকে। কিন্তু, গ্রাহকদের সরাসরি অফিসে গিয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও বলতে পারেন না রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের হেল্পলাইনের কর্মীরা। ফলে, এলাকার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতে পর্ষদের টোল ফ্রি নম্বর থেকে লোকাল অফিসের নম্বরে বারবার ফোন করে হয়রান হওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের গ্রাহকদের কাছে।

Advertisement