Flood Situation Control Room Number: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ সিকিম। সিকিমের হড়পা বানে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। শিলিগুড়িতেও বন্যা পরিস্থিতি। গজলডোবা থেকে কালিম্পংয়ে ফুঁসছে তিস্তা। ডুবেছে ব্রিজ। ইতিমধ্যে গজলডোবা থেকে ৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়। সিকিমের উত্তরে অবস্থিত মাঙ্গান জেলার চুংথাং। দক্ষিণ লোনাক হ্রদটি চুংথাং হিমালয়ে অবস্থিত। এই হিমবাহী হ্রদের ওপর মেঘ ফেটে বৃষ্টি নামে। যার জেরে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। বানভাসি লাচেন। কালিম্পং, দার্জিলিংয়ের সঙ্গে সংযোগ ছিন্ন হয়েছে সিকিমের।
বহু পর্যটক সিকিমে আটকে রয়েছেন। উত্তরবঙ্গেও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে আছে। এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সরকার সব রকমভাবে সাধারণ মানুষের পাশে আছে। নবান্নের আধিকারিকদের সঙ্গে ফোনে বৈঠকে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। টানা বৃষ্টি ও তিস্তাতে জলস্তর বৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একে মেঘভাঙা বৃষ্টি তারওপর ডিভিসি থেকেও ছাড়া হয়েছে জল। তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সিকিমে বন্যার ফলে জলস্তর বেড়েছে তিস্তার। ফলে আশঙ্কায় উত্তরবঙ্গের মানুষ।
কন্ট্রোল রুম
নবান্নের তরফে ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ ও ১০৭০-এই নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। পর্যটন দফতরের তরফেও চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ১৮০০-২১২-১৬৫৫ ও ৯০৫১৮৮৮১৭১ এই দুটি নম্বর চালু হয়েছে। প্রত্যেকটি জেলার জন্য এই নম্বর চালু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী খোদ এই বিষয়টি তদারকি করছেন। চলছে উদ্ধারকাজ।
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি
কালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারেও প্রচুর মানুষকে সরানো হচ্ছে। ২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে দিন কয়েক ধরেই প্রবল বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গে। তার মধ্যে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ফলে প্লাবিত বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। প্রত্যেকটি জায়গাতে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াতেও আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি হয়েছে।