TMC বুথ সভাপতি ও BLO র মিলে রাস্তার ধারে SIR ফর্ম বিলির অভিযোগ, কল্যাণপুরে উত্তেজনা

ফের SIR ফর্ম নিয়ে বিতর্ক। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় SIR ফর্ম বিলি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। অভিযোগ, রাস্তায় চাটাই পেতে একসঙ্গে SIR ফর্ম বিলি করা হয়েছে।

Advertisement
TMC বুথ সভাপতি ও BLO র মিলে রাস্তার ধারে SIR ফর্ম বিলির অভিযোগ, কল্যাণপুরে উত্তেজনাকমিশনের নিয়ম কি মানা হচ্ছে? রাস্তার ধারে SIR ফর্ম বিতরণের অভিযোগ।
হাইলাইটস
  • পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় SIR ফর্ম বিলি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।
  • অভিযোগ, রাস্তায় চাটাই পেতে একসঙ্গে SIR ফর্ম বিলি করা হয়েছে।
  • ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আরতি মিত্র ও সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল অফিসার (BLO)।

ফের SIR ফর্ম নিয়ে বিতর্ক। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় SIR ফর্ম বিলি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। অভিযোগ, রাস্তায় চাটাই পেতে একসঙ্গে SIR ফর্ম বিলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আরতি মিত্র ও সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল অফিসার (BLO)। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উঠছে নির্বাচন কমিশনের নিয়মভঙ্গের অভিযোগ।

নিয়ম অনুযায়ী, ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য BLO দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করার কথা। কিন্তু অভিযোগ, কল্যাণপুরের ১৭২ নম্বর বুথে রাস্তার ধারে বসেই ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। রাত বাড়তেই ওই স্থানে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় জমে যায়। অনেকেই দাবি করেন, BLO তাঁদের বাড়িতে যাননি। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তার ধারে এসে ফর্ম নিতে হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই পরিস্থিতি আরও বদলে যায়। অভিযোগ, সাংবাদিকদের দেখতে পেয়ে সেখান থেকে চলে যান BLO। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে ওই BLO জানান, আলোর অভাব থাকায় রাতের বেলায় তিনি ফর্ম বিলি করছিলেন না, বরং ফর্মগুলি সাজাচ্ছিলেন মাত্র।  

তৃণমূল বুথ সভাপতি আরতি মিত্র জানান, 'মানুষের সুবিধার জন্যই পাড়ায় পাড়ায় ডেকে একসঙ্গে ফর্ম পূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে সময় ও পরিশ্রম কম লাগে।' যদিও তিনি স্বীকার করেন যে, এই পদ্ধতি কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী নয়।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তাঁদের দাবি, এভাবে ফর্ম বিলি করা হলে ভোটারদের ওপর চাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পুরো ঘটনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।

সংবাদদাতা: সুজাতা মেহেরা

POST A COMMENT
Advertisement