 নিজস্ব চিত্র
নিজস্ব চিত্র SIR পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এনুমেরেশন ফর্ম বিলি করার পর্ব। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO)। ফর্ম হাতে পেয়ে তা ফিল আপ করে তুলে দিতে হবে এই BLO-দের হাতে। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই এনুমেরেশন পর্ব। ফর্ম সংগ্রহ করার জন্য একাধিকবার আপনার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন এই BLO-রা। কিন্তু ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি নথি জমা করতে হবে কবে?
CEO, West Bengal-এর তরফে জানানো হয়েছে, এনুমেরেশন পর্বে BLO বাড়িতে ফর্ম বিলি এবং তা ফিল আপের পর সংগ্রহ করার জন্য এলে, তাঁকে কাগজ দেখাতে হবে না। অর্থাৎ এনুমেরেশন পর্বে ১১টির নথির মধ্যে একটি নথি দেখানোর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
তাহলে কবে দেখাতে হবে কাগজ?
নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, খসড়া তালিকা প্রকাশের পর একটি নোটিশ জারি করা হবে। এনুমেরেশন পর্বে ফর্মে যে নথি প্রমাণ হিসেবে দেখানোর কথা আপনি উল্লেখ করবেন, সেটিই ওই নোটিশ জারি করার পর দেখাতে হবে। ১১টি নথির যে কোনও একটিই এখানে গ্রহণযোগ্য। 
কী কী নথি দেখাতে হবে? 
১) কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। ২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি। ৩) জন্ম শংসাপত্র। ৪) পাসপোর্ট। ৫) মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র। ৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র। ৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট। ৮) জাতিগত শংসাপত্র। ৯) কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার। ১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার। ১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল বলেন, 'আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন সরকারি কাজ। এর আগেও ৮-১০ বার হয়েছে। ভয়ের কোনও প্রশ্নই নেই। BLO কোনও এলাকায় যাওয়ার আগে আগাম সেখানে খবর পাঠিয়ে দেবেন। তার পরেও কেউ বা কোনও পরিবার খবর না পেলেও অসুবিধা নেই। BLO একবার নয়, প্রত্যেক এলাকায় প্রয়োজনে ৩-৪ বার যাবেন। তা ছাড়া এক-একটি বুথে ভোটার সংখ্যা মোটামুটি ১২০০। BLO-রা প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০টি বাড়িতে গেলেই এক মাসের মধ্যে সমীক্ষার কাজ হয়ে যাবে।'
কোন কোন দিনগুলি গুরুত্বপূর্ণ? 
৪ নভেম্বর- এনুমেরেশন ফর্ম ফিল আপ শুরু 
৪ ডিসেম্বর- এনুমেরেশন পর্ব সমাপ্ত 
৯ ডিসেম্বর- খসড়া তালিকা প্রকাশ
৮ জানুয়ারি পর্যন্ত- অভিযোগ জমা
৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত- অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি
৭ ফেব্রুয়ারি- চূড়ান্চ ভোটার তালিকা প্রকাশ