ধূপগুড়ির SIR-এর খসড়া তালিকায় ভুলখসড়া ভোটার তালিকায় জীবিত ব্যক্তি মৃত! এসআইআর প্রকাশ হতেই চাঞ্চল্য ধূপগুড়িতে। জীবিত মানুষকে সরকারি নথিতে মৃত দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পাড়া এলাকায়। ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজেও।
অভিযোগ, রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা নন্দলাল রাম প্রতি বছর নিয়মিত ভোট দিয়ে আসছেন। ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে, এমনকি সম্প্রতি বিএলও তাঁর বাড়িতে এসআইআর ফর্ম দিয়েও যান এবং সেই ফর্ম তিনি যথাযথভাবে জমা দেন। অথচ এসআইআর-এর প্রকাশিত খসড়া তালিকায় দেখা যায়, এক নম্বরে নন্দলাল রায়কে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে। খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই চোখ কপালে ওঠে নন্দলাল রায়ের। সরকারি কাগজে নিজেকে মৃত দেখে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, এর ফলে সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও তিনি বঞ্চিত হতে পারেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং, সরকারি নথিতে ‘মৃত’ দেখানো নন্দলাল রামকে পাশে বসিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে খুশি করতে তাড়াহুড়ো করে এসআইআর প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আগেই বলেছিলেন এসআইআর হোক, কিন্তু তা যেন সঠিক ও স্বচ্ছভাবে হয়। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের চরম গাফিলতির কারণে জীবিত ভোটারকে মৃত ঘোষণা করা হচ্ছে। এভাবে ভোটার তালিকা সংশোধন হলে গণতন্ত্রের উপরই প্রশ্ন উঠে যায়। তার ফলেই কোথাও জীবিত মানুষকে মৃত, আবার কোথাও নিখোঁজ দেখানো হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি তৃণমূলের।
অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপির টাউন মণ্ডল সভাপতি পাপাই বসাক বলেন, 'এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই। হয়তো কারও অনিচ্ছাকৃত ভুলে এমন হয়েছে। এখনও সংশোধনের জন্য এক মাস সময় আছে, ঠিক হয়ে যাবে।' তবে এটা কি একেবারেই অনিচ্ছাকৃত ভুল নাকি কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই ওই জীবিত ভোটারকে মৃত হিসেবে দেখান হয়েছে, ইতিমধ্যে সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন কেউ কেউ।
রিপোর্টার-রাজেন প্রধান