বনগাঁর বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস।-ফাইল ছবিবিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক চমকপ্রদ ঘটনা। কখনও রাজনৈতিক তরজা, কখনও প্রশাসনিক বিভ্রাট, এসব মিলিয়েই এখন শিরোনামে SIR। এরই মাঝে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার ১৯১ নম্বর পার্টের এক ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস এতদিন ধরে জানতেন, তাঁর পরিবার পাঁচ জনের, স্বামী-স্ত্রী ও তিন সন্তান। কিন্তু এসআইআর ফর্ম যাচাইয়ের সময় ব্লক লেভেল অফিসার (BLO) যখন তাঁর বাড়িতে সাত জনের ফর্ম নিয়ে পৌঁছন, তখনই ঘটে বিপত্তি।
রবীন্দ্রনাথবাবু অবাক হয়ে দেখেন, ফর্মে তাঁর ‘পাঁচ সন্তান’-এর নাম রয়েছে। এর মধ্যে দু’জন-রাজু বিশ্বাস এবং বিশু বিশ্বাস তাঁকে বাবা হিসেবে দেখিয়েছে। অথচ রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি, তিনি এই দু’জনকে জীবনে কখনও দেখেননি। ঘটনার পরই তিনি গাইঘাটা বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে দুই ‘অচেনা ছেলের’ নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দোষারোপ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সব্যসাচী ভট্ট বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, 'এটা কীভাবে হল, তা নির্বাচন কমিশন জানাবে। ওই এলাকার বিধায়ক বিজেপির, পঞ্চায়েত সদস্যও বিজেপির। তাঁদেরই বলতে হবে এগুলো কীভাবে ঘটল।'
অন্যদিকে, বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার পাল্টা বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় ক্ষমতায় তৃণমূল। অফিসগুলোর সামনে তৃণমূলের দাদালগুলো থাকে। তারাই টাকার বিনিময়ে এসব কারচুপি করেছে। এখন SIR চলায় সব বেরিয়ে পড়ছে।'
প্রশাসনের তরফেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তদন্তের। গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার জানান, 'এমন অভিযোগ এলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।'
সংবাদদাতা: দীপক দেবনাথ