Smart Meter Controversy West Bengal: রাজ্যে স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কে অবশেষে নরম সুর রাজ্য সরকারের। বিদ্যুৎ দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল—সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বাদে সাধারণ গ্রাহকের বাড়িতে আপাতত স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ আসতেই এই সিদ্ধান্ত।
বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, কিছু পরীক্ষামূলক প্রকল্প সফল হলেও তিন-চারটি জেলায় অভিযোগ আসায় মিটার বসানো স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে সরকারি অফিস, টেলিকম টাওয়ার, কমার্শিয়াল ভবনে স্মার্ট মিটার বসানো অব্যাহত থাকবে।
বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদে ছিল একযোগে সুর। হুগলি, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় স্মার্ট মিটার বসানোর পর দেখা গেছে, বিদ্যুৎ বিল এক ধাক্কায় কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। হুগলির এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, আগের বিল ১৫০০ টাকা হলেও স্মার্ট মিটার বসানোর পরে তা এক মাসে বেড়ে হয়েছে ১২,০০০ টাকা!
সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস একযোগে প্রতিবাদ জানায়। সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন এবং বিদ্যুৎ মেনস ইউনিয়ন এই প্রিপেড মিটার ব্যবস্থাকে ‘চুপিচুপিই বেসরকারিকরণ’ বলে আখ্যা দেয়। দাবি, ত্রুটি থাকলে ভোগান্তির শিকার হবেন গ্রাহকরাই। মধ্যরাতে প্রিপেড টাকার মেয়াদ ফুরালে বিদ্যুৎ কেটে যাবে, কৃষকরা পড়বেন বিপদে।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান, এটি পরিকল্পিত বিরোধিতা। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার বিজ্ঞপ্তিতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, গ্রাহক ঘরে আপাতত মিটার বসবে না।
এই ঘোষণা ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজ্ঞপ্তির শেষ লাইনটি লাল কালি দিয়ে হাইলাইট করে তিনি লিখেছেন, "বোঝো ঠ্যালা!"