মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিকিট দেননি। তাই হাপুস নয়নে কেঁদে তৃণমূল ছেড়েছিলেন সোনালি গুহ। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি-তে। অভিযোগ করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এখন দল চলে না। তাই তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বিজেপি থেকেও টিকিট পাননি সোনালি। তারপর কেটে গেছে প্রায় ২ মাস। রাজ্যে ফের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় ফের পুরোনো দলে ফিরতে আগ্রহী সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের ৪ বারের বিধায়ক সোনালি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলে, দলের পোস্টার মারার কাজ করতেও রাজি আছেন বলে আজতক বাংলাকে জানান তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধায়কে খোলা চিঠি লিখেছেন সোনালি। তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল, একথা জানিয়ে লিখেছেন, 'দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিন। বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।'
এই খোলা চিঠি সামনে আসার পর রাজ্য-রাজনীতিতে কার্যত তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাহলে কি দলবদলুদের ফের পুরোনো দলে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল? আজতক বাংলাকে সোনালি বলেন, 'কে তৃণমূলে ফিরবে বা ফিরবে না, সেসব আমার জানা নেই। কারও সাথে আমার কথাও হয়নি। তবে আমি ফিরতে আগ্রহী। দিদির কাছে আমার অনুরোধ, তিনি যেন আমাকে দলে একটু জায়গা দেন।'
আরও পড়ুন : এগিয়ে আসছে Cyclone Yaas, বাংলায় জারি সতর্কতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লেখার পর কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যোগাযোগ করেনি বলেও জানান সোনালি। বলেন, 'এখনও দলের তরফে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি আমাকে জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত দলনেত্রী নেবেন। আমি সেই সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছি।'
ছিলেন ৪ বারের বিধায়ক। ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্বও সামলেছেন। এবার ভোটে টিকিট পাননি। মন্ত্রিসভা গঠনের কাজও সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সরকারি কোনও পদ যে সোনালি পাবেন না, তা কার্যত নিশ্চিত। তাহলে দলে ফিরতে চাইছেন কেন? উত্তরে সোনালি বলেন, 'আমি দলের পুরোনো কর্মী। দলের ভালো দিন, খারাপ দিন দেখে এসেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থেকেছি। এক সময় তো পোস্টার মারতাম দলের। দলনেত্রী যদি নির্দেশ দেন, তাহলে আমি আজও পোস্টার মারতে রাজি আছি। আমাকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে, দিদি যে কাজ দেবেন সেই কাজ করব।'