কালীপুজোর আগের দিন সোনারপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। উদ্ধার ৫ বছরের শিশুর রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম প্রত্যুষা কর্মকার। জানা গিয়েছে, বাবা-মা অফিসে গিয়েছিলেন। বাড়িতে দাদু-দিদা এবং পরিচারিকার সঙ্গে ছিল শিশুকন্যা। রবিবার সন্ধ্যায় রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় প্রত্যুষাকে। স্থানীয়দের চেষ্টায় তাকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
জানা গিয়েছে, প্রত্যুষার মা এবং বাবা দু'জনেই বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। প্রতিদিনের মতো রবিবারও তাঁরা যথাসময়ে কাজে বেরিয়ে যান। বাড়িতে দাদু, দিদার কাছেই থাকত প্রত্যুষা। সঙ্গে এক আয়াকে নিয়োগ করা হয়েছিল তার দেখভালের জন্য।
স্থানীয়রা জানান, আচমকাই প্রত্যুষাদের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পান তারা। ছুটে গিয়ে দেখেন প্রত্যুষা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রত্যুষার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। বাড়িতে তিন জন থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই শিশু দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে শিশুটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা আয়া এবং তার দাদু ও দিদাকে। ইতিমধ্যেই ওই বাড়ি সিল করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এখনও পর্যন্ত শিশুটির পরিবারের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ফলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।