Kunal Ghosh: 'অধ্যাপক রায়ের ভূমিকা...' রোহিতরা চ্যাম্পিয়ন হতেই সৌগতকে চরম কটাক্ষ কুণালের

খেলার মাঠের লড়াই এবার রাজনৈতিক ময়দানেও! ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে দেশ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে। কিন্তু এই জয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অন্দরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

Advertisement
'অধ্যাপক রায়ের ভূমিকা...' রোহিতরা চ্যাম্পিয়ন হতেই সৌগতকে চরম কটাক্ষ কুণালেরকুণাল ঘোষ ও সৌগত রায়।-কোলাজ
হাইলাইটস
  • খেলার মাঠের লড়াই এবার রাজনৈতিক ময়দানেও!
  • ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে দেশ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে।

খেলার মাঠের লড়াই এবার রাজনৈতিক ময়দানেও! ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে দেশ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে। কিন্তু এই জয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অন্দরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) রবিবার রাতে একটি টুইট করে লেখেন, 'রোহিতের এই সাফল্যের পেছনে অধ্যাপক রায়ের ভূমিকা সত্যিই অনস্বীকার্য !!!!!'

এই ‘অধ্যাপক রায়’ কে, তা স্পষ্ট করেননি কুণাল। তবে রাজনৈতিক মহলে অনেকেই মনে করছেন, এটি বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Roy) প্রতি কটাক্ষ। কারণ কিছুদিন আগেই সৌগত রায় রোহিত শর্মার পারফরম্যান্স ও ওজন নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। রবিবার ফাইনাল ম্যাচে রোহিতের দুর্দান্ত ইনিংসের পরই কুণালের এমন টুইট সন্দেহের পারদ চড়িয়েছে।

 

রোহিতকে ‘মোটা’ বলেছিলেন সৌগত, জবাব দিলেন কুণাল?
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সৌগত রায় রোহিতের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তাঁর চেহারা নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন। তবে ফাইনালে রোহিতের ৭৬ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংসের পরই কুণালের এই মন্তব্যকে অনেকেই সৌগত রায়ের প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ কটাক্ষ বলে মনে করছেন। যদিও এ নিয়ে কুণাল ঘোষ সরাসরি কিছু বলেননি। একটি সংবাদমাধ্যমকে তাঁর বক্তব্য, 'আমার ইচ্ছে হয়েছে লিখেছি! যে যার মতো বুঝবে!'

অন্যদিকে, সৌগত রায় এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমি সোশ্যাল মিডিয়া দেখি না। কে কী বলল, তাতে আমার কোনও আগ্রহ নেই। তখন রোহিত ভালো খেলেনি, তাই সমালোচনা করেছিলাম। এখন ভালো খেলেছে, তাই প্রশংসা করছি। তবে রোহিতের এত তাড়াহুড়ো করা উচিত হয়নি। না হলে ওভাবে স্ট্যাম্প আউট হতে হত না!'

নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের ছায়া?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু ক্রিকেট সংক্রান্ত আলোচনা নয়, বরং তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বেরই বহিঃপ্রকাশ। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের অভ্যন্তরে নতুন-পুরনো নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ প্রকট হয়েছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একবার বলেছিলেন, 'রাজনীতিতেও বয়সের সীমা থাকা উচিত। কারণ বয়স বাড়লে প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়।'

Advertisement

এরপরই সৌগত রায় বলেছিলেন, 'রাজনীতিতে উৎপাদনশীলতা মাপা যায় না। এটি সম্পূর্ণ বৌদ্ধিক কাজ।' তখনই কুণাল ঘোষ নাম না করে বলেছিলেন, 'দলের কিছু নেতা মনে করেন সাংসদ হওয়াটা তাঁদের জন্মগত অধিকার। তাঁরা মনে করেন, যতদিন দেহ থাকবে, ততদিন পদও থাকবে!'

POST A COMMENT
Advertisement