SSC দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিল, সুপ্রিম কোর্টেই গেল রাজ্য, শুনানি কবে?প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অধীনে ২৫,৭৫৩টি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। আগেই শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছিল সরকার। বুধবার রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে এসএসসি SLP দায়ের করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন মেনে সোমবার এসএসসি মামলার রায়দান হল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বেঞ্চ সোমবার রায় দেন। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর অতিরিক্ত পদ তৈরি করে কোনও ব্যক্তির চাকরি বৈধ নয়। সমস্ত নিয়োগ বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। পদ্ধতি সঠিক ছিল না জানিয়ে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বেঞ্চ আরও জানায়, ২০১৬ সালের প্যানেলের সকলের চাকরি বাতিল হল। যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ পদে চাকরি পেয়েছেন আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ৬ সপ্তাহের মধ্যে সেই বেতন ফেরৎ মিলেছে কি না তা দেখার নির্দেশ। এসএসসি নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে। যাকে প্রয়োজন তাকেই হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। এই সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। ওএমআর শিট আপলোড করার নির্দেশও দেওয়া হয়। বঙ্গ রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত বিষয়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। স্কুল সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিরোধীরা বারবার নিশানা করে রাজ্যের শাসকদলকে।
অন্যদিকে অযোগ্যদের চাকরি বাতিল ও যোগ্যদের নিয়োগের দাবিতে ১ হাজার ১৩৫ দিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চলছে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। শাসকদলের মন্ত্রী, নেতা তাঁদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজলেও, আদতে সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। সেই SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ অর্থাত্ সোমবার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশ বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ।