কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gagnguly) নির্দেশে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। পেয়েছিলেন ১৬ লক্ষ টাকাও। এবার তাঁর চাকরি নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ ওই চাকরির নতুন দাবিদার অনামিকা রায় হাজির হয়েছেন। শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকার দাবি, চাকরিটা তাঁর পাওনা ছিল তাঁর। অ্যাকাডেমিক স্কোরে ভুল তথ্যের জোরে নাকি চাকরি পেয়েছে ববিতা।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বেআইনি নিয়োগ তাঁর জন্যই ফাঁস হয়। চাকরি হারান মন্ত্রী কন্যা। কিন্তু সেই ববিতার চাকরি নিয়েই এবার উঠছে প্রশ্ন।
ওই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি প্যানেলে নাম থাকাদের (নিয়োগপত্র পাওয়া ও ওয়েটিং লিস্টে থাকা উভয়ের) নম্বর ব্রেকাপ প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ, কোন ক্ষেত্রে কে কত নম্বর পেয়েছেন তা ভেঙে ভেঙে তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ববিতা সরকার অ্যাকাডেমিক স্কোরে ৩৩ পেয়েছেন। যদিও ববিতার ৩১ পাওয়ার কথা। কারণ, স্নাতক স্তরে তিনি ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, এই ভিত্তিতে প্রাপ্ত নম্বর বসিয়েছে এসএসসি।
যদিও, ববিতা সরকারের জমা দেওয়া মার্কশিট অনুযায়ী স্নাতকস্তরে তিনি ৮০০ এর মধ্যে ৪৪০ নম্বর, মানে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। সেই হিসেবে অ্যাকাডেমিক স্কোরে তাঁর ২ নম্বর কমে যাওয়ার কথা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
অভিযোগ কার্যত মেনেও নিয়েছেন আদালতের নির্দেশে মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস স্কুলে চাকরি করা ববিতা সরকার। তিনি নিজেই জানান, এসএসসি অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২ নম্বর বেশি দিয়েছে। এই নম্বর বাদ গেলে তাঁর চাকরি যে চলে যেতে পারে সে বিষয়েও অবগত ববিতা সরকার।
আইনজ্ঞদের একাংশের ব্যাখ্যা, কোর্টে কেউ কোনও ভুল তথ্য পরিবেশন করে থাকলে তিনি সাজার মুখে পড়তে পারেন। রেক্টিফিকেশনেরও সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি বোনাফায়েড মিস্টেক ধরে এমনও হতে পারে ববিতা, অনামিকা দুজনেই চাকরি করল। কিংবা ববিতার চাকরি বাতিলও হতে পারে।
আরও পড়ুন- সরকারি মঞ্চে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগানে সায় নেই BJP MP-র, যা বললেন তিনি