ভুয়ো সিমকার্ড ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ খোলার জন্য ওটিপি তৈরি করা হত। তার পরে সেই ওটিপি বিক্রি করা হত পাকিস্তান, চিনে। এই অসাধু চক্রের পর্দাফাঁস করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২ সপ্তাহ আগে এসটিএফের অভিযানে ধরপাকড় করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভুয়ো সিমকার্ড ব্যবহার করতেন ধৃতরা। তারপরে তা দিয়ে বিভিন্ন বেআইনি কাজের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে ওটিপি তৈরি করে তা বিক্রি করা হত। এই কারবারের খবর জানার পরই এসটিএফের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয় মুর্শিদাবাদে। তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে এসটিএফ জানতে পেরেছে যে, ধৃতরা দেশের বিভিন্ন বাসিন্দার সঙ্গে এই কারবার করতেন। হোয়াটসঅ্যাপ ওটিপি তৈরি করে তা বিক্রি করা হত। যাঁদের বিক্রি করা হত, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পাকিস্তান, চিনের নাগরিক। এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গৌরব শর্মা নামে ৩৫ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি হিমাচলপ্রদেশের বাসিন্দা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় এসটিএফ। এই কারবারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে গৌরব যুক্ত বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার গৌরবকে ট্রানজিট রিমান্ডে বাংলায় নিয়ে আনা হয়েছে। তাঁকে বহরমপুর আদালতে হাজির করানো হবে।
কী ভাবে চলত এই কারবার?
সূত্রের খবর, দোকানে সিম কিনতে আসা গ্রাহকদের নথি এবং বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে একাধিক সিম কার্ড সক্রিয় করা হত। বায়োমেট্রিক হাতাতে ব্যবহার করা হত বিশেষ ধরনের মেশিন। বিভিন্ন গ্রাহকদের নামে তোলা সিমের নম্বর দিয়ে হোয়াট্সঅ্যাপ খুলতেন পাক গুপ্তচরেরা। হোয়াট্সঅ্যাপ খোলার সময় ওই ফোন নম্বরে আসা ওটিপি দিয়ে গুপ্তচরেদের সাহায্য করতেন দোকান মালিকেরা। ওটিপি পিছু তাঁরা পেতেন কিছু টাকা।
অন্য দিকে, রাজ্যে নানা দুর্নীতির ঘটনায় সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। রেশন দুর্নীতির তদন্তেও সক্রিয় ইডি। ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান।