Jhargram School: প্রিয় শিক্ষিকার বদলি আটকাতে প্ল্যাকার্ড হাতে পড়ুয়ারা, বিক্ষোভ ঝাড়গ্রামের স্কুলে

Jhargram School: স্কুলের প্রিয় শিক্ষিকা। আর তাঁকে স্কুল থেকে যেতে দেবে না খুদে খুদে পড়ুয়ারা। বাবা,মায়ের সঙ্গে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে স্কুলের দিদিমনির বদলি আটকাতে আন্দোলনে নেমেছে ওরা। আসলে স্কুলের প্রিয় দিদিমণি সোমা মাহাতোর বদলির নির্দেশ এসে গিয়েছে।

Advertisement
প্রিয় শিক্ষিকার বদলি আটকাতে প্ল্যাকার্ড হাতে পড়ুয়ারা, বিক্ষোভ ঝাড়গ্রামের স্কুলেঝাড়গ্রাম স্কুলে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
হাইলাইটস
  • আসলে স্কুলের প্রিয় দিদিমণি সোমা মাহাতোর বদলির নির্দেশ এসে গিয়েছে।

স্কুলের প্রিয় শিক্ষিকা। আর তাঁকে স্কুল থেকে যেতে দেবে না খুদে খুদে পড়ুয়ারা। বাবা,মায়ের সঙ্গে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে স্কুলের দিদিমনির বদলি আটকাতে আন্দোলনে নেমেছে ওরা। আসলে স্কুলের প্রিয় দিদিমণি সোমা মাহাতোর বদলির নির্দেশ এসে গিয়েছে। তাই বদলির খবর শুনেই মন খারাপ হয়ে যায় পড়ুয়াদের। গত দেড়বছর ধরে অভিভাবকের মতোই পড়ুয়াদের আগলে রেখেছেন সোমা মাহাতো। শেষমেশ পড়ুয়াদের সঙ্গে সোমবার মন্টিপা, মোহনপুর সহ একাধিক গ্ৰামের বাসিন্দারাও ঝাড়গ্রামের মোহনপুর আংশিক বুনিয়াদি স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান।   

জানা গিয়েছে, শুধু যত্ন নিয়ে পড়াশোনা করানো নয়, লেখাপড়ার বাইরেও বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্টিভিটিও করাতেন তিনি। সব মিলিয়ে শিক্ষিকা ঝাড়গ্রামের মোহনপুর প্রাইমারি স্কুলে আসার পর, স্কুলের পরিবেশটাই বদলে গিয়েছে। আর তাই সেই প্রিয় দিদিমনির বদলির নির্দেশ আসার পর কিছুতেই মানতে পারছেন না পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে স্কুলের সময়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা। তাঁদের দাবি, শিক্ষিকা সোমা মাহাতোর বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে লাগাতার আন্দোলন চলবে। এদিকে, জেলা শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, প্রশাসনিক নিয়ম মেনে বদলির নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। পড়ুয়া ও অভিভাবকদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।  

সোমবার সকালে সম্পূর্ণ আলাদা ছবি দেখা গেল এই প্রাইমারি স্কুলে। স্কুলের সামনে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলছে। স্কুলের গেটে তালা। বন্ধ পঠন-পাঠন। পড়ুয়াদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা, আমাদের সোমা ম্যাডামকে বদলি করা চলবে না। কোনও প্ল্যাকার্ডে আবার লেখা, সোমা ম্যাডাম আমাদের খুব ভাল পড়ান, আমাদের খুব ভালোবাসেন। আমরা চাই তিনি এখানেই থাকুন। স্কুলের শিক্ষিকা সোমা মাহাতোর বদলির নির্দেশ পৌঁছাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। প্রায় দেড় বছর ধরে এই স্কুলে পড়াচ্ছেন তিনি। খুদেদের কাছে যেমন প্রিয় তেমনই অভিভাবকদের কাছেও আস্থার প্রতীক। ছোট ছোট পড়ুয়াদের দাবি, সোমা ম্যাডাম আমাদের খুব ভাল পড়ান, আমাদের খুব ভালোবাসেন। আমরা চাই তিনি এখানেই থাকুন।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম ব্লকের পাটাশিমুল পঞ্চায়েতের গ্ৰাম মোহনপুর।  মন্টিপা, জামবাইদা, মোহনপুর, ন্যাকরাবিধা গ্ৰামের সব ছোট, ছোট ছেলে-মেয়েগুলি এই স্কুলেরই পড়ুয়া। বছর দু’য়েক আগেও স্কুলে মাত্র দু’জন শিক্ষক ছিলেন। পঠন-পাঠন ঠিকভাবে হতো না। কিন্তু বর্তমানে প্রি প্রাইমারি থেকে পঞ্চম শ্রেণির এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক সহ চারজন শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়াও অলচিকি ভাষার দুই শিক্ষক পড়ান। সোমা মাহাত গত বছর এই স্কুলে যোগদান করেন। অভিভাবকদের চাপে এদিন পঠন-পাঠন শুরু করা যায়নি। তবে স্কুলে জেলা শিক্ষা দপ্তরের কোনও আধিকারিককে দেখা যায়নি। যা নিয়ে অন্যান্য শিক্ষকরা ক্ষোভপ্রকাশ করেন। প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম রানা বলেন, শুক্রবার রাতে শিক্ষা দপ্তর থেকে ওই শিক্ষিকার বদলির মেল পাই। পড়ুয়ারা প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষিকাকে যেতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনিক। পড়ুয়াদের আবেগের বিষয়টি শিক্ষা দপ্তর বিবেচনা করুক। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়ালকে জানানো হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন তিনি।

 

রিপোর্টারঃ দেবেন্দ্রনাথ তিওয়ারি

POST A COMMENT
Advertisement