scorecardresearch
 

Abhishek Banerjee: স্বস্তি অভিষেকের, দিল্লিতে ডাকতে পারবে না ED, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, অধীরের কটাক্ষ, 'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়'

লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত ১০ জুলাইয়ের আগে অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করতে পারবে না ইডি। বুধবার এই মামলার শুনানিতে নিজেদের অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রিম কোর্ট, অধীর চৌধুরী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রিম কোর্ট, অধীর চৌধুরী।
হাইলাইটস
  • লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • আপাতত ১০ জুলাইয়ের আগে অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করতে পারবে না ইডি।
  • কয়লা পাচার মামলায় পরবর্তী শুনানি ১০ জুলাই। 

লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত ১০ জুলাইয়ের আগে অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করতে পারবে না ইডি। বুধবার এই মামলার শুনানিতে নিজেদের অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কয়লা পাচার মামলায় পরবর্তী শুনানি ১০ জুলাই। এই প্রসঙ্গে অভিষেককে কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন,'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।'

অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলাকারী এক জন সাংসদ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন অভিষেক। তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন আদালতে ইডির হয়ে সওয়াল করা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। পাশাপাশি, তিনি জানান, ২০২২ সালের মার্চ মাসের পর আর এই মামলায় অভিষেককে তলব করেনি ইডি। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসের পর কয়লা পাচার মামলায় তলব করা হয়নি রুজিরাকেও। তাই ওই দু’জনকে তলবের বিষয়ে কোনও দ্রুততা নেই তদন্তকারী সংস্থাটির।

প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অভিষেক এবং রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সস্ত্রীক অভিষেক। কলকাতায় যাতে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সে ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। ২০২২ সালে সেই মামলায় অভিষেকের পক্ষেই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে যেন কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের কোনও হেনস্থার মুখে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২০২২ সালে এই সংক্রান্ত মামলায় অভিষেককে রক্ষাকবচ দিয়েছিল আদালত। 

আরও পড়ুন


এদিন শুনানিতে অভিষেকের হয়ে সওয়াল হলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন যে, ২২ মার্চের পর থেকে অভিষেককে আর তলব করেনি ইডি। অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে ২৩ সেপ্টেম্বরের পর আর ডাকা হয়নি। তদন্তের জন্য জুলাইয়ের পর কলকাতায় তাঁদের ডাকা হোক। কারণ এ রাজ্যেই অপরাধের অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তে যে অভিষেক এবং রুজিরা বরাবর সহযোগিতা করেছেন, সে বিষয়টিও তুলে ধরেন সিব্বল। তিনি আরও বলেন যে, অভিষেক ভোটে লড়ছেন। ১ জুন নির্বাচন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দিলে ভোটের কাজে সমস্যা হবে। ইডির হয়ে সওয়াল করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তিনি বলেন, তলবের বিষয়ে কোনও দ্রুততা নেই তদন্তকারী সংস্থার। 

Advertisement

এই প্রসঙ্গে অভিষেককে কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'সামনাসামনি হাজিরা দিতে ভয় পাচ্ছে। ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছ, ইডির জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য...১০০ দিনের কাজের জন্য মানুষ যে বঞ্চিত, তার আইনি প্রতিকারের জন্য গেলে না।'

Advertisement