তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন অন্তত ৪০ শতাংশ কম। অস্থায়ী সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভ। আর সেই মঞ্চ থেকেই স্থায়ী কর্মীদেরও 'দলে টানলেন' শুভেন্দু অধিকারীর। শুক্রবার হাওড়ার মন্দিরতলার মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'গোটা দেশে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হয়ে গিয়েছে, অষ্টম বেতন কমিশনও হচ্ছে। অথচ আপনারা এখনও অর্ধেক মাইনে পাচ্ছেন। যাঁর জন্য কাজ করছেন, তিনিই আপনাদের মাইনে কমিয়ে রেখেছেন।' তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন অন্তত ৪০ শতাংশ কম। 'আজকাল একটা ভাল স্কুলে বাচ্চাকে পড়াতে মাসে ১০ হাজার টাকা লাগে,' মন্তব্য শুভেন্দুর।
সিভিল ডিফেন্স ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কর্মীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এঁরা কারও দয়ায় পদ পাননি। প্রশিক্ষিত কর্মী হিসেবেই তাঁরা বিপর্যয়ের সময় জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে মানুষের পাশে দাঁড়ান। অথচ তাঁদের জন্য নেই স্থায়িত্ব, নেই ন্যূনতম আর্থিক সুরক্ষা। শুভেন্দুর দাবি, অন্য রাজ্যে এনডিআরএফ কর্মীরা ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান, এসডিআরএফ-এ সেই অঙ্ক প্রায় এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সেখানে বাংলায় হাজার হাজার কর্মী অস্থায়ী তকমা নিয়ে কাজ করছেন, সামান্য পারিশ্রমিকে।
বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, ন্যূনতম মজুরি যেখানে ৫০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে, সেখানে রাজ্য সরকার প্রায় ১৪ হাজার কর্মীকে সেই সুবিধা দিচ্ছে না। ১,৫০০ টাকার বেকার ভাতা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'রাজ্যের মাইনে কম। আপনারা রাস্তা থেকে যে টাকা তোলেন, সেটা আবার উঁচু, আইপিএস পদে চলে যায়। তারপর আবার সেটা ঘুরে কালীঘাট পৌঁছে যায়।'
এদিন শুভেন্দুর বারবার কেন্দ্র ও বিজেপি শাসিত রাজ্য বনাম পশ্চিমবঙ্গের তুলনা টানেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যেখানে বেতন কমিশনের সুফল পাচ্ছেন, সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীরা অনিশ্চয়তায় পড়ে রয়েছেন। অষ্টম বেতন কমিশনের কারণে এই ফারাক আরও বাড়বে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে প্রায় ছয় লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করা হয়েছে। কাজের পুনর্নবীকরণের ‘গাজর’ ঝুলিয়ে রেখে কর্মীদের বঞ্চনা করা হচ্ছে।