এবার সারদা মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর (CBI) ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অদিকারী। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ৩ পাতার একটি চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে সেই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন বিরোধী দলনেতা।
ওই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের নামের পাশাপাশি ডেলো বাংলো, সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেলস ব্যবসা এবং সারদার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমগুলির নামও তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই চিঠি পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, "আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে চিঠি লিখেছি, সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরতে সিবিআই-এর অনিচ্ছার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ১০ বছর ধরে দিনটির জন্য অপেক্ষা করে আছেন"। ট্যুইটটি 'নরেন্দ্র মোদী' ও 'মমতা অফিসিয়াল'-কে ট্যাগও করেন তিনি। এদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৯ বিরোধী নেতা।
এখনও চলছে সারদা মামলা
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারী। গ্রেফতার হন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen Sarada), তাঁর সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ অনেকে। পরে মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। তারপর থেকে ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। এবার কেন্দ্রের সেই তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন খোদ বিরোধী দলনেতা।
যা বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ...
তবে এবারই প্রথম নয়, অতীতেও বিভিন্ন মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কয়েকদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)সিবিআই-এর চেয়ে ইডি-কে 'বেশি বিশ্বস্ত' বলে মন্তব্য করেছিলেন। দিলীপ বলেন, "তৃণমূলের সঙ্গে সিবিআইয়ের সেটিং হয়ে গিয়েছে। সিবিআইয়ের কোনও কোনও আধিকারিক বিক্রি হয়ে যায়। কেউ লাখে, কেউ কোটি কোটিতে। সেটা বুঝতে পেরেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-কে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। ফলে যাঁরা সেটিং করেছে, তাঁরা এখন বলছে ইডি কেন? কারণ এই কুকুরটা পোষ মানবে না, কামড়াবে"।
আরও পড়ুন - মাধ্যমিক পাশেই BSF-এ চাকরি, বেতন ৭০ হাজার