'তামান্নাকে খুন করলেও মুসলিমরা তৃণমূলকে ভোট দেবে, বগটুইয়ের মতো। জ্বালিয়ে দেওয়ার পরও তৃণমূলের শতাব্দী রায় জিতেছিল।' বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বললেন বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কালিগঞ্জে উপনির্বাচনের ফলের দিন বোমার আঘাতে একটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিষয়টিতে শুভেন্দু ওই কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাট থানার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ও স্থানীয় উপপ্রধান ভাদু শেখকে। সেই রাতেই ভাদুর অনুগামীরা বগটুইয়ের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তাতে ৯ জন মহিলা-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার পায় সিবিআই। কিন্তু তারপরেও ওই এলাকায় জেতেন তৃণমূল প্রার্থী।
পাশাপাশি শুভেন্দুর দাবি, রথযাত্রার আগে রাজ্যের একাধিক এলাকায় নিরাপত্তা, ধর্মীয় অনুশাসন ও রাজনৈতিক মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনিকভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুজো, রামনবমীর পরে এবার রথযাত্রাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর কথায়, 'উল্টোরথ মহরমের আগে পড়েছে, পুলিশ রথযাত্রার রুট পাল্টাতে বলেছে। আপনারা বসে পড়ুন, রুট পাল্টাবেন না।'
তিনি আরও বলেন, 'যাঁরা হিন্দু ধর্মকে সম্মান করেন না, তাঁরাই পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন করেন। রাজীব কুমার, বিনীত গোয়েল রথের দড়ি টানছেন। রথের দড়ি টানার অধিকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ছাড়া অন্য কারও থাকা নয়।'
এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় একাধিক হিন্দু পরিবার আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, 'ভাইপোর জেলার সবচেয়ে বেশি হিন্দু বিজেপি কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মহিলাদের উপর নিগ্রহ, খুন, কাজ থেকে তাড়ানো, সব ঘটছে।'
একটি সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, 'মগরাহাটে বিধর্মীর কাছ থেকে প্যারা-গজা না নেওয়ায় এক হিন্দু যুবককে মারধর করা হয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে রহিম মোল্লা নামক অভিযুক্ত।' শুভেন্দুর কথায়, 'লক্ষ লক্ষ হিন্দু পরিবার সেই প্যারা গজা ফেলে দিয়েছে, পোষ্যদেরও খাওয়ায়নি।'